আজ ৩রা জুন মঙ্গলবার, ঠিক বিকেল চারটায়, কলকাতার ধুর শালা প্রেস ক্লাবে, কালচার এন্ড লিটারারি ফোরাম অফ বেঙ্গলের উদ্যোগে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সাংবাদিক সম্মেলন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কবিতা উৎসব বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।
আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আসানসোল পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন বিধায়ক এবং কালচার এন্ড লিটারারি ফোরাম অফ বেঙ্গলের সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক প্রীতম সরকার, তাছারা উপস্থিত ছিলেন সুব্রত রায় ,পার্থ সরকার সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা,
রাজ্য সরকারের কবিতা উৎসব বন্ধের কারণ এবং সাহিত্য উৎসবে কোন কবিদের সম্মান না দেওয়ায় বিভিন্ন উদ্যেগ প্রকাশ করেছেন। সাথে সাথে ধিক্কার জানিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে বলেন এরকম একটি সাহিত্য উৎসবে পশ্চিমবঙ্গে কি কোন ভালো লেখক বা কবির লেখা নাই, যে তাহাদেরকে পুরস্কৃত করা হলো না বা তাহারা পুরস্কারের যোগ্য নয়, কেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার হঠাৎ করে কবিতা উৎসব বন্ধ করলেন তারও কোন সদ উত্তর নাই, সকল কবি ও সাহিত্যিকরা চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন, প্রকৃত ব্যাখ্যার দাবী জানিয়েছেন, শুধু তাই নয় ফেসবুকে পোস্ট করে বিভিন্ন কবি ও সাহিত্যিকরা সদুত্তর চেয়েছেন ,কিন্তু আজও তার সদুত্তর মেলেনি, এর ফলে অনুমান করেছেন, তবে এতেও কি কোনো ঘাবলা রয়েছে, বা টাকা নয় ছয় হয়েছে, অন্যান্যর মতো যাহা ঘটেছে, তাই আজ কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে আমাদের এই প্রতিবাদ, তাহার সাথে সাথে আমরা ২৩ শে জুন থেকে কলকাতা সহ আসানসোল, শিলিগুড়ি ও অন্যান্য জেলায় কবিতা উৎসবের আয়োজন করেছি।
এই উৎসব সবার জন্য, কবি সাহিত্যিক ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা এই উৎসবে যোগ দিতে পারবেন, প্রতিবাদের কবিতা নিয়ে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলা ভাষা নিয়ে ছেলে খেলা করে চলেছে, এমনকি যিনি দায়িত্বে আছেন তিনিও কোন সদুত্তর দিতে পারছেন না, এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে বলেন, সরকারের ব্যর্থ বসু, কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গদিতে বসে, ডাক্তারি থেকে কবিতা নাটক সবই করেন, তাই কবিদের সম্মান দিতে পারছেন না। এমন কি কবিতা উৎসবে যিনি রয়েছেন সুবোধ সরকার, তিনি একজন নিজে কবি, তাহারো কাছে জানতে চাই। কেন এই কবিতা উৎসব বন্ধ করা হলো,
আমরা কালচারাল এন্ড লিটারারি ফোরাম অফ বেঙ্গল তো তিন বছর ধরে সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকি, ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায় কবিতা উৎসব, আর আজও সরকার কবিতাৎ সব বন্ধ করে দিলেও, আমরা সমস্ত কবিদের পাশে আছি, কবিদের নিয়ে আরও বড় করে কবিতা উৎসব অনুষ্ঠান করছি।, আমরা সকল কবিদের মঞ্চ দেব, সরকার পিছিয়ে গেলো, বাংলার ভাষাকে ধরে রাখার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। এর সাথে সাথে বলবো সমস্ত বুদ্ধিজীবী ও বুদ্ধি সম্পন্ন কবি সাহিত্যিকরা গর্জে উঠুন, প্রতিবাদ করুন, সরকারকে চাপের মুখে ফেলুন।
আজ এই সম্মেলন থেকে আমাদের দাবী,
উৎসব সংক্রান্ত আর্থিক বেনিয়মের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক রাজ্য সরকার।
কোন কবি বা আবৃত্তিকার যেন অবহেলার শিকার না হোন, তাদের প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে।
শিল্প সংস্কৃতির পরিসরে, ঘনিষ্ঠতা বা চেনা মুখ ভিত্তিক সুযোগ প্রদানের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।
শিল্পীদের সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে যোগ্যতা ও কৃতিত্বকে ভিত্তি করে, তাদের সুযোগ দিতে হবে।
বাংলা ভাষা ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ার পরেও, এই বছর বাংলা থেকে কোন কোন লেখক সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার পেলেন না, এই বিষয় সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে জানাতে হবে।।
যদি রাজ্য সরকার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারেরা এই প্রশ্নগুলি সঠিক উত্তর না দেন আগামী দিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলন করবেন কবি সাহিত্যিক ও অন্যান্য সংস্থাদের নিয়ে। আর একটা কথা তীব্রভাবে জানিয়ে দিলেন, তুই আমাদের অনুষ্ঠানে কোন বাধা সৃষ্টি হয়, বলে তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে হলেও কবিতার উৎসব করবেন।