নিজস্ব প্রতিবেদক |
‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করছেন’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে রোববার বিকেলে শত শত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সমাবেত হয়ে উপাচার্য যাতে পদত্যাগ না করেন এজন্য বিক্ষোভ করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের নানা শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এলাকা। তারা এক পর্যায়ে উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশ করে বলে আমরা জানতে পেরেছি আপনি আজ (রোববার) পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আমরা আপনার পদত্যাগ চাই না। আমরা কেনো ভাবেই আপনার পদত্যাগ মেনে নিবো না। দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনে অবস্থান করে পদত্যাগ না করার জন্য শ্লোগান দিতে থাকলে এক পর্যায়ে উপাচার্য প্রশাসন ভবনের নিচে নেমে প্রবেশদ্বারে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থিত হন।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জহুরুল তানভীর বলেন, আমাদের একটাই দাবি উপাচার্য স্যারের পদত্যাগ কোনো অবস্থাতেই মেনে নেব না। উপাচার্য স্যার বিশ্ববিদ্যালয়কে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য যেভাবে কাজ করছেন সেভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন, তাতে যদি কোন বাধা আসে আমরা তা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করবো। উপাচার্য স্যারের পদত্যাগ বিষয়ে যদি অভ্যন্তরীণ বা বাইরের কোন চাপ থাকে তাও শিক্ষার্থীরা প্রতিহত করবে। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে। উপাচার্য যাতে পদত্যাগে বাধ্য না হন-এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুধু একা নন, এখানে একটি টিম কাজ করে। সে সাথে আছেন উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বডির সদস্য, শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সবাই কাজ করেন। তোমরা যে বিষয় নিয়ে আসছো-তা আমি ভেবে দেখবো এবং এ বিষয়ে আমি আমার টিমের সাথে কথা বলে তারপর তোমাদের সাথে আবার কথা বসবো। তিনি শিক্ষার্থীদের এই উপস্থিতি এবং তাদের বক্তব্য শুনে বলেন, আমার শিক্ষকতা জীবনের এটি একটি বড় পাওয়া। পরে উপাচার্য তার দপ্তরে ফিরে যান এবং সেখানে উপস্থিত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুসসহ শিক্ষকদের সাথে বসেন।