দেশের তথ্য ডেস্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে আসমা আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধুকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২২ জুলাই) সকাল আনুমানিক ১০টায় উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শশুর জিলানী মিয়া ও দেবর শাহীন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের স্বামী ইয়াসিন মিয়া সাইপ্রাস প্রবাসী ।
নিহতের বাবার বাড়ি পার্শ্ববর্তী হোমনা উপজেলার দাড়িগাঁও গ্রামে। বাবার নাম হাজির বেপারি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মো: জিলানী মিয়ার ছেলে ইয়াসিনের সাথে পার্শ্ববর্তী হোমনা উপজেলার দাড়িগাঁও গ্রামের হাজির বেপারির মেয়ে আসমা আক্তারের বিয়ে হয় ২০১৯ সালে। তাদের ৪ বছর বয়সী মেয়ে নুসরাত ও ৪ মাস বয়সী আয়ান নামের এক ছেলে রয়েছে। শনিবার সকাল আনুমানিক ১১টায় নিহতের মেয়ে নুসরাত মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরে ঘরের তার মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় সে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং আসমা আক্তার(২৮)কে নিজঘরে রক্তাক্ত ও গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে যায়। এঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শশুর জিলানী মিয়া ও দেবর শাহীন মিয়াকে আটক করেছে।
নিহতের বাবা হাজির মিয়ার দাবী তার মেয়েকে যৌতুকের জন্য পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গলাকেটে হত্যা করেছে তার শশুর, শাশুড়ি এবং দেবরসহ আরো কয়েকজন। তারা জানান, তাদের মেয়ে আসমা আক্তারকে বিয়ে দেয়ার পর থেকেই যৌতুকের জন্যে চাপ প্রয়োগ ও নির্যাতন করে আসছিল শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মেয়ের জামাইকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে বিদেশ পাঠানোর পরও একের পর এক চাপ প্রয়োগ ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ফলস্বরূপ তারা আমাদের মেয়েকে গলাকেটে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
নিহতের শাশুড়ী জামেলা বেগম বলেন, ‘আমি কিছুই জানিনা। আমি সিলেট থেকে এসে দেখি কারা যেন আমার ছেলের বউকে গলা কাইট্টা মাইরা ফালাই রাখছে।’
বাঞ্ছরামপুর মডেল থানার ওসি নূরে আলম চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, হত্যার সংবাদ শুনে আমি এবং সার্কেল স্যার ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ গলাকাটা অবস্থায় ঘরের ভিতরে পড়ে আছে।
সন্দেহজনক ২ জনকে আটক করেছি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। এই হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করার জন্য পুলিশ মাঠে কাজ করছে।