খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলস্ সহ সকল শিল্প কারখানার সম্পদ পাচার, লুটপাট, দুর্নীতি, অবৈধ্য টেন্ডার প্রক্রিয়া বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন, বন্ধ সকল শিল্প কারখানা চালু, শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ শ্রমিক হয়রানী বন্ধ এবং ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন।
আজ ১২/০৬/২০২৫ তারিখ ১২২০-১২৫০ ঘটিকা পর্যন্ত খুলনা মহানগরের সদর থানাধীন হাজী মেহের আলী রোডস্থ জন্মভূমি পত্রিকা অফিসের দ্বিতীয় তলায় হল রুমে খুলনা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলস্ সহ সকল শিল্প কারখানার সম্পদ পাচার, লুটপাট, দুর্নীতি, অবৈধ্য টেন্ডার প্রক্রিয়া বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন, বন্ধ সকল শিল্প কারখানা চালু, শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ শ্রমিক হয়রানী বন্ধ এবং ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নাগরিক সমাজ খুলনার আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আ ফ ম মহসীন এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব এ্যাড. বাবুল হাওলাদার, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি খুলনা মহানগরের সাবেক সভাপতি রহমান বাবু, গনসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলার আহ্বায়ক মনির চৌধুরী সোহেল প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে এডভোকেট বাবুল হাওলাদার উল্লেখ করেন,খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো লোকসানের অজুহাতে করোনার মতো স্মরণকালের ইতিহাসের দুনিয়াব্যাপী সর্ববৃহৎ দুর্যোগের মধ্যে ২০২০ সালের ২ জুলাই রাতের অন্ধকারে তৎকালীন সরকার রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে, গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের পেটোয়াবাহিনী দ্বারা একটি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ২৬টি পাটকল বন্ধ করে দেয়। যার মধ্যে খুলনাঞ্চলের ৯টি পাটকল রয়েছে। বেকার হয়ে যান এবং নিদারুণ অর্থ সংকটে পড়েন এর সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট মানুষ। তৎকালীন সরকার শ্রমিকদের সকল বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে লীজের মাধ্যমে এ খাতটি আধুনিকায়ন করে পরবর্তীতে ৩ মাসের মধ্যে পুনরায় চালুর ঘোষণা দেয়। মূলত এটি ছিলো শ্রমিক অসন্তোষ এবং কারখানা চালুর দাবীতে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধের একটি অপকৌশলমাত্র। যা তৎপরবর্তী অদ্যাবধি কার্যক্রম দ্বারা স্পষ্ট প্রতীয়মান। তারও পূর্বে লোকসানের অজুহাতে ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর খুলনা নিউজ প্রিন্ট মিলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই অজুহাতে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর খুলনা হার্ডবোর্ড মিলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও এ অঞ্চলের চিংড়ি রপ্তানিকারক কারখানা ও লবণ শিল্পের করুণ দশা।পতিত হয়ে আছে বিপুল পরিমাণ জমি, ভৌত অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতি। এহেন ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে জাতীয় সম্পদের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্বার্থবাদী একশ্রেণির লুটেরাগোষ্ঠীর। শুরু হয় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বনিম্ন লুটেরা পর্যন্ত সর্বমহলে লুটত্বরাজের এক হরিলুটের খেলা। কখনও লীজের নামে কখনও টেন্ডারের নামে এভাবে বিভিন্ন নামে-বেনামে শুরু হয় এখানকার মূল্যবান সম্পদ পাচার-লুটপাট। মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে পূর্বেকার চলমান দুর্নীতি আরো ক্ষিপ্রগতিতে। যার অপসৃষ্টির শিকার বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রায় সকল কারখানাগুলো।
আমাদের দাবিঃ-
(১) নিউজ প্রিন্ট মিলের অবৈধ টেন্ডার বাতিল, লুটপাটকারী, নাটকীয়, ষড়যন্ত্রমূলক এ টেন্ডারের সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা এবং টেন্ডারের নামে ইতোপূর্বে পাচার হয়ে যাওয়া সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে ফেরৎ প্রদান।
(২) বন্ধ সকল কারখানা আধুনিকায়ন করে চালু এবং স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ।
(৩) শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ।
(৪) লুটপাটের প্রতিবাদকারী শ্রমিকদের হয়রাণী বন্ধ।
(৫) পাটকল রক্ষা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারে সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য ও
রূপরেখা প্রদান।