মোঃ মামুন মোল্লা
নগরীর মীরেরডাঙ্গা শিল্পাঞ্চলের এ্যাজাক্স জুট মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সকল পাওনা পরিশোধের দাবীতে গেটসভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১৮ মে রবিবার সকাল ১০ মিলের প্রধান ফটকের সামনে এ গেটেসভা অনুষ্ঠিত হয়। গেটসভায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন মালিক কে আমরা বুঝিনা আমাদের ন্যার্য্য পাওনা পরিশোধ করা নিয়ে কোন টালবাহানা আর মানতে পারছিনা। তারা বলেন অনেক নাটক মঞ্চর্থ হয়েছে আর না। এখন আমাদের বাঁচতে আন্দোলন কর্মসুচি নিয়ে মাঠে নামা ছাড়া আমাদের কোন গতি নাই। নেতৃবৃন্দ বলেন, এক সময়ের লাভজনক এই সুনামধন্য শিল্প কারখানাটি এক শ্রেনী অসাধু ব্যক্তির কারণে আজ ধ্বংশ হয়ে কারখানাটি মৃর্ত্যু বরণ করেছে। আমাদের দিয়ে কাজ করিয়ে মালিকগণ কোটি কোটি টাকা পুজি করে এখন আমাদের পাওনা টাকা না দিয়ে মিল বছরের পর বছর বন্ধ করে আমাদেরকে না খাইয়ে মারবেন তা আর হতে দেওয়া হবে না। শ্রমিক নেতারা বলেন, ২০১৩ সালে মালিক পক্ষ মিলটি শতশত শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ না করে বন্ধ করে দিয়েছেন। এরই মধ্যে টাকার অভাবে ৬০/৭০ শ্রমিক-কর্মচারী বিনা চিকি’সায় অনাহারে অর্ধাহারে মৃত্যু বরণে করেছে। বর্তমানে মিলটির শ্রমিকরা মানবিক জীবন যাপন করছে। তাদেরকে সন্তানদের পড়া লেখা বন্ধ হয়েগেছে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বিদ্যুত । মিলটির মালিকের কাছে এখন প্রায় ৬ শতাধিক শ্রমিক কর্মচারী তাদের বকেয়া পাওনা পাবে। যাদের কোন খোজখবর মালিক পক্ষ নেয় না। এই অবস্থায় আমাদের বকেয়া পাওনার দাবীতে নতুন আন্দোলন কর্মসুচি নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হচ্ছি।
শ্রমিকদের এই গেট সভা থেকে দাবী আদায়ে আগামী ২০ মে সকাল ১০টায় খুলনা ডিসি অফিসের সামনে আমরণ অন্যশন কর্মসুচি ঘোষণা করা হয়।
এ্যাজাক্স জুট মিলস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর ওদুদ শরীফের সভাপতিতেব এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন শ্রমিক নেতা তোফাজ্জল ইসলাম,আব্দুর রহমান, হুগলি বিস্কুট কোম্পানি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রমিক নেতা আব্দুল ওহাব ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহার আলী. শ্রমিক নেতা ওবায়দুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।