খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান বলেছেন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে শুধুমাত্র পাকিস্তানের ২৩ বছরের দুঃশাসন থেকে মানুষকে মুক্ত করেননি। তিনি ২শ বছর আগে পলাশের আম্রকানন হারিয়ে যাওয়া বাঙালি জাতির ঐতিহ্য ও গৌরবকে ফিরিয়ে এনেছেন। এ মহান নেতা একদিকে যেমন ভারত বর্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন তেমনি নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫২’র মহান ভাষা আন্দোলনে। এরপর পাকিস্তানের ২৩ বছরের দুঃশাসন থেকে বাঙালি জাতিকে চ‚ড়ান্তভাবে মুক্ত করতে ৫২ পরবর্তী প্রতিটি ধাপে ধাপে লড়াই এবং সংগ্রাম করে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। মহান এ নেতার জন্য পাইকগাছার মাটি ও মানুষ ধন্য উল্লেখ করে এমপি রশীদুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু উপকূলীয় এ জনপদের মাটিতে দুইবার পদধুলি দিয়েছেন। একবার ৭০ এর নির্বাচনে এরপর ১৯৭২ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেই এ জনপদ থেকেই ওয়াপদার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সুখী সমৃদ্ধি সোনার বাংলা গড়ার শুভ সূচনা করেছিলেন। ৭৫ সালে ঘাতকরা স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে এ দেশ অনেক আগেই উন্নত দেশে উন্নীত হতো। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন তা আজ তারই যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূরণ করে চলেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর বলে উল্লেখ করেন স্থানীয় এ সংসদ সদস্য। তিনি রোববার বিকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগনেতা খায়রুল আলম, শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, আওয়ামী লীগনেতা সমীরণ সাধু, আনন্দ মোহন বিশ্বাস, জিএম ইকরামুল হক, সহকারী অধ্যাপক ময়নুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গোলদার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী, কৃষ্ণপদ মন্ডল, আব্দুল ওহাব বাবলু, ময়না বেগম, জেলা ছাত্রলীগনেতা মৃণাল কান্তি বাছাড়, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পার্থ প্রতীম চক্রবর্ত্তী ও সাধারণ সম্পাদক ফাইমিন সরদার।