দেশের তথ্য ডেস্কঃ
জমির ঘেরবেড়া দেয়ার সূত্র ধরে কুদ্দুস গাজী (৪৫) ও স্ত্রী জেসমিন বেগম (৩৩) নামের দুই জনকে মারধর করে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে থানায় ভুক্তভোগি অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ মামলা নিবে না বলে জানায়(বিষয়টি আমলে নেয়নি পুলিশ)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে শনিবার দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালি ইউপি’র ১ নং ওয়ার্ডের সাহাপাড়া গ্রামের মৃত মান্দার গাজীর ছেলে কুদ্দুস গাজী’র আপন বড় ভাই আব্দুল আলীম গাজী (৪৮), স্ত্রী রোজিনা বেগম (৪২) সহ তার ছেলে আহাদ গাজী(১৩) মেয়ে শাখিলা খাতুন(২২) ও সাদিয়া খাতুন (২০) একত্রিত হয়ে পূর্বের শত্রুতার জেরে কুদ্দুস গাজী ও তার স্ত্রী জেসমিন বেগম এর উপর দেশীয় অস্ত্র-সশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে মারপিট করে মারাত্মক জখম করে। এছাড়াও মধ্যযুগীয় কায়দায় কুদ্দুস গাজীকে ঘটনা স্থলে থাকা মেহগনি গাছের সাথে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে মারধোর করে।
ভুক্তভোগির অভিযোগ, ঘটনার দিন তার বসতবাড়ীর ভিতরে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে ঘেরাবেড়া দিতে নিষেধ করতে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় আব্দুল আলীম ও স্ত্রী রোজিনা সহ তার পরিবারের লোকজন। এবং জেসমিন বেগম কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করতে গেলে তিনি মাথা সরিয়ে নিতে মাটিতে পড়ে যায়,উক্ত আঘাত তার ডান কোমরে লাগে। পরবর্তীতে তার পরিবারের লোকজন তাদের হাতে থাকা শাবল ও লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের কে উদ্ধার করে। এবং জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চলে যান। ভুক্তভোগীরা আরো জানান উক্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও বিষয়টি আমলে না নিয়ে নিরপরাধ কুদ্দুস গাজীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।
স্থানীয় টুটুল গাজী কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জায়গা জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন কুদ্দুস গাজী’র বড় ভাই আলীম গাজী ও তার স্ত্রী সহ ছেলে মেয়েরা তার বসতবাড়ীর ভিতরে ঢুকে দখল দিতে আসে। কুদ্দুস গাজী বাঁধা দিলে তার উপরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে পরে তার স্ত্রী জেসমিন বেগম আসলে তাকে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে তার হাত-পা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠিসোটা দিয়ে সজোরে আঘাত করে জখম করে।পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাদের কে উদ্ধার করে। এবং আলীম গাজীর মেয়ে কুদ্দুস গাজী’র স্ত্রীর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করতে গেলে সেই লাঠির আঘাত আলীম গাজীর স্ত্রীর মাথায় লাগে। তবে কুদ্দুস গাজী ও তার স্ত্রীর কাছে কোনো প্রকার লাঠিসোটা ছিল না।