বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা এস এম জাহাতাব হোসেন ও মাঃ মাসুম বিল্লাহর চাকরীর তথ্য না দেয়ায় খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মাঃ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নােটিশ পাঠানো হয়েছে। বেসরকারী টেলিভিশন গাজী টিভির ষ্টাফ রিপার্টার শেখ লিয়াকত হোসেন তথ্য অধিকার আইন তথ্য চেয়ে না পেয়ে তিনি গত বুধবার (৩০ জুলাই) এ লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করেন। এস এম জাহাতাব হোসেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপাপ্ত) ও মাঃ মাসুম বিল্লাহ প্রধান সহকারী হিসাব বিভাগীয় স্বাস্থ পরিচালকের দপ্তরে কর্মরত রয়েছেন।
জানা যায়, গত ৭ ম তথ্য অধিকার আইন ফরম “ক” এ তথ্য প্রাপ্তির আবদনপত্র সাংবাদিক লিয়াকত হাসন বিভাগীয় স্বাস্থ পরিচালকের (ভারপ্রাপ্ত) দপ্তরের একজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চাকরীর তথ্য চায়। ওই তথ্য প্রাপ্তির আবদনপত্র ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম জাহাতাব হোসেনের ৯টি এবং প্রধান সহকারী মোঃ মাসুম বিল্লাহের চাকরীর ৮টি তথ্য উল্লখ করা হয়। এছাড়া সাবেক বিভাগীয় স্বাস্থ পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ দায়িত্ব থাকা অবস্থায় কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চিকিৎসকদর বদলী/প্রষনের তালিকা ও চাওয়া হয়। সকল তথ্য গুলা ৭ কার্যদিবসর মধ্যে সরবরাহ করতে অনুরাধ করেন বেসরকারী টেলিভিশন গাজী টিভির ষ্টাফ রিপার্টার শেখ লিয়াকত হোসেন। এই আবেদন পাওয়ার পর খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত ইমেইলের মাধ্যম একটি পত্র প্ররন হয়। যার স্মারক নং- পস্বা/খুবি/শাখা-১/তথ্য অধিকার/২০২৫/১৩৪০ , তারিখ -২০/০৭/২০২৫। দপ্তারাদেশে উল্লখ করা হয় যে, আপনার আবেদন পত্রের ক্রমিক নং- ২ এর (ক),(খ),(গ),(ঘ),(ঙ),(চ),(ছ),(জ),(ঝ),(ঞ),(ট),(ঠ),(ড),(ঢ),(ণ),(ত) এবং (থ) অনুযায়ী চাহিত তথ্যাবলী তথ্য অধিকার আইনের ৭(জ) এর নির্দশনা মাতাবেক প্রদান করা সম্ভ্যব নয় বলিয়া দুঃখিত। এছাড়া ক্রমিক নং-২ এর (দ) ও (ধ) বর্ণিত তথ্য গুলা উর্ধতন কার্যালয় যথা সময় প্রদান করা হয়ছে বলে ওই দপ্তারাদেশে উল্লখ করা হয়ছে। অথচ তথ্য অধিকার আইনের ৭(নং) এর নির্দশনা দেয়া আছে, তথ্য প্রদান স্থগিত রাখিবার ক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে তথ্য কমিশনারের পূর্বনুমােদন গ্রহণ করত হবে। এই বিষয়টি পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মাঃ মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত দপ্তারাদেশে কােন কিছুই উল্লখ করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু পরিষদর নেতা এস এম জাহাতাব হােসেন ও মোঃ মাসুম বিল্লাহর চাকরীর তথ্য না পেয়ে সাংবাদিক লিয়াকতের পক্ষ খুলনা জজ কাের্টের এ্যাডঃ মোঃ ফিরােজ আলম পলাশ লিগ্যাল নােটিশ প্রেরন করেন। বিভাগীয় পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মাঃ মুজিবুর রহমানের নিকট প্রেরিত ওই লিগ্যাল নােটিশ উল্লেখ করা হয়েছে যে, আপনি কর্তক প্রেরিত চিঠি পড়ে আমার মক্কেল হতাশ ও হতবাক হয়েছেন। ২ এর ক হইতে ৩ এবং থ ত বর্ণিত তথ্য প্রদান করা সম্ভ্যব নয় বলে আপনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কারন হিসাব তথ্য অধিকার আইন ৭(জ) ধারায় নির্দশনার কথা উল্লেখ করেছেন। উক্ত আইনর ৭(জ) ধারায় বলা হয়েছে, কােনো তথ্য প্রকাশের ফলে কােন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনের গােপনীয়তা ক্ষুন হতে পারে এই তথ্য প্রদান করা যাবেনা। আমার মক্কেলের সহিত তথ্য কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত গােপনীয়তা ক্ষুন্য করার মত একটি শব্দও নেই। ফলে আপনি কেবলমাত্র খাম খেয়ালী ভাবে তঞ্চকতার আশ্রয় গ্রহন ও সকল চাহিত তথ্যক উপক্ষা করেছেন। এছাড়া ২(দ) এবং ২(ধ) বর্ণিত চাহিত তথ্যর ক্ষেত্রে আপনি যে উত্তর প্রদান করেছেন তা দুঃখ জনক। লিগ্যাল নাটিশ প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে চাহিত সকল তথ্য সঠিক ভাবে প্রদানর জন্য স্বাস্থ পরিচালককে পরামর্শ দেয়া হয়। তবে একটি সূত্র জানায়, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ মুজিবুর রহমান আওয়ামীলীগ হওয়ায় বঙ্গবন্ধু পরিষদর নেতা এস এম জাহাতাব হোসেন ও মোঃ মাসুম বিল্লাহর চাকরীর তথ্য তিনি গােপন করার চেষ্টা করেছেন। তাদের চাকরীর সকল তথ্য প্রকাশ হলে ওই কর্মকর্তা ও কর্মচারী চাকরীচ্যুত হতে পারে বলে আশংকা করছে বিভাগীয় স্বাস্থ পরিচালক। প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপাপ্ত) এস এম জাহাতাব হোসেন ও প্রধান সহকারী মোঃ মাসুম বিল্লাহ বঙ্গবন্ধু পরিষদর স্বাস্থ পরিচালক কার্যালয়ের আহবায়ক কমিটির সদস্যর দায়িত্ব রয়েছে।