Dhaka 2:21 am, Tuesday, 19 August 2025

পুলিশ বলছে সমঝোতা না হলে কোর্টে পাঠানো হবে

মোঃ মামুন মোল্লা

গোধুলী শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লি: এর অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো: ফারুক রিপনের বিরুদ্ধে সমিতির সদস্যদের সঞ্চয়, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আয়-ব্যায় বুঝিয়ে না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিনিয়োগকারীদের পাওনা অর্থ ফেরৎ পেতে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগকারী সমিতির সভাপতি মোঃ সমির হোসেন নিজের টাকাসহ গ্রাহকদের টাকা ফেরৎ পেতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। এছাড়াও তিনি সমাজসেবা দপ্তরেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানাগেছে।

বন্দন থানায় করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে গত মে ২০২১ হইতে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত সমিতির সদস্যদের সঞ্চয়, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আয়-ব্যায় এ অসংগতি রেখে সমিতির লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন সমিতির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ফারুক রিপন। এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় তিনি সমিতির হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে না দিয়ে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ ও সমাজসেবা অধিদপ্তর পর্যন্ত গড়ালেও এর কোন সমাধান না হওয়ায় বিনিয়োগকারী ও গ্রাহকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

গোধূলি শ্রমজীবী সমবায় সমিতির বিনিয়োগকারী মোঃ নাসির হোসেন মুঠোফোন এই প্রতিবেদক কে বলেন, আমি সমিতিতে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছি। সমিতির সভাপতি সমীর হোসেন ও সমিতিতে মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করেছে। হঠাৎ শুনতে পাই সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আমাদের বিনিয়োগের টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে চলে গেছে। এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি থানায় সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় বসাবসি ও হয়েছে। সমিতির অপর পার্টনার রফিক লেনদেনর হিসাব-নিকাশ অর্থ সম্পাদক রিপন এর কাছে বুঝিয়ে দিয়ে বিদেশে চলে গেছে । থানা পুলিশের সামনে সকল কিছু উপস্থাপন করার পর রিপন স্বীকার করেন তিনি সমিতির বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেবেন স্বীকারও করেছে। এরপর থেকে তার আর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

অপর বিনিয়োগকারী ইমন হোসেন জানান, আমি গার্মেন্টসে কাজ করি আমার অনেক কষ্টে অর্জিত টাকা সমিতির অর্থ সম্পাদক ফারুক রিপন আত্মসাৎ করেছে। রফিক ও রিপন মিলে সমিতির টাকা নয়ছয় করে এখন কোন হিসাব দিতে পারছে না, আমাদের টাকা ফেরতও দিচ্ছে না।

এ বিষয়ে তদন্ত-পূর্বক আমরা যাতে টাকা ফেরত পেতে পারি তার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে গোধূলি শ্রমজীবী সমবায় সমিতির সমিতির সভাপতি মো: সমির হোসেন বলেন, সমিতির দুজন কর্মকর্তা গ্রাহকদের বিনিয়োগের যে টাকা আত্মসাৎ করেছে তার পূর্ন বিবরন প্রমাণ ডকুমেন্ট সহ থানা ও অন্যান্য দপ্তরে প্রেরণ করেছি। আত্মসাৎ এর পূর্ন বিবরন পর্যালোচনা ও তদন্ত সাপেক্ষে ফেরৎ পেতে এবং ফারুক রিপনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সমিতির সকল সদস্যদের পক্ষ থেকে আমি বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেছি।

দ্রæত সময়ের মধ্যে থানা পুলিশ তদন্ত পূর্বক এ বিষয়ে সুষ্ঠু সুন্দর সমাধান দিয়ে গ্রাহকদের পাওনা অর্থ ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে আমি আশা করছি।

এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির সাব-ইন্সপেক্টর শওকত ইমাম বলেন, গোধূলি সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ সমির হোসেনের একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমির প্রযোজনীয় কাগজপত্র ও ডকুমেন্টস দাখিল করেছে। বিবাদীকে ডাকা হয়েছিল এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে না আসায় তাকে সময় দেওয়া হয়েছে। আজ বিবাদী আসলে ডকুমেন্টস দেখে দুই পক্ষকে নিয়ে বসা হবে। সমঝোতায় না হলে তাদেরকে কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় লাজ ফার্মাকে নকল ওষুধ বিক্রির দায়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

পুলিশ বলছে সমঝোতা না হলে কোর্টে পাঠানো হবে

প্রকাশঃ 02:08:24 pm, Thursday, 24 July 2025

মোঃ মামুন মোল্লা

গোধুলী শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লি: এর অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো: ফারুক রিপনের বিরুদ্ধে সমিতির সদস্যদের সঞ্চয়, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আয়-ব্যায় বুঝিয়ে না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিনিয়োগকারীদের পাওনা অর্থ ফেরৎ পেতে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগকারী সমিতির সভাপতি মোঃ সমির হোসেন নিজের টাকাসহ গ্রাহকদের টাকা ফেরৎ পেতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। এছাড়াও তিনি সমাজসেবা দপ্তরেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানাগেছে।

বন্দন থানায় করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে গত মে ২০২১ হইতে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত সমিতির সদস্যদের সঞ্চয়, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আয়-ব্যায় এ অসংগতি রেখে সমিতির লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন সমিতির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ফারুক রিপন। এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় তিনি সমিতির হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে না দিয়ে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ ও সমাজসেবা অধিদপ্তর পর্যন্ত গড়ালেও এর কোন সমাধান না হওয়ায় বিনিয়োগকারী ও গ্রাহকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

গোধূলি শ্রমজীবী সমবায় সমিতির বিনিয়োগকারী মোঃ নাসির হোসেন মুঠোফোন এই প্রতিবেদক কে বলেন, আমি সমিতিতে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছি। সমিতির সভাপতি সমীর হোসেন ও সমিতিতে মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করেছে। হঠাৎ শুনতে পাই সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আমাদের বিনিয়োগের টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে চলে গেছে। এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি থানায় সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় বসাবসি ও হয়েছে। সমিতির অপর পার্টনার রফিক লেনদেনর হিসাব-নিকাশ অর্থ সম্পাদক রিপন এর কাছে বুঝিয়ে দিয়ে বিদেশে চলে গেছে । থানা পুলিশের সামনে সকল কিছু উপস্থাপন করার পর রিপন স্বীকার করেন তিনি সমিতির বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেবেন স্বীকারও করেছে। এরপর থেকে তার আর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

অপর বিনিয়োগকারী ইমন হোসেন জানান, আমি গার্মেন্টসে কাজ করি আমার অনেক কষ্টে অর্জিত টাকা সমিতির অর্থ সম্পাদক ফারুক রিপন আত্মসাৎ করেছে। রফিক ও রিপন মিলে সমিতির টাকা নয়ছয় করে এখন কোন হিসাব দিতে পারছে না, আমাদের টাকা ফেরতও দিচ্ছে না।

এ বিষয়ে তদন্ত-পূর্বক আমরা যাতে টাকা ফেরত পেতে পারি তার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে গোধূলি শ্রমজীবী সমবায় সমিতির সমিতির সভাপতি মো: সমির হোসেন বলেন, সমিতির দুজন কর্মকর্তা গ্রাহকদের বিনিয়োগের যে টাকা আত্মসাৎ করেছে তার পূর্ন বিবরন প্রমাণ ডকুমেন্ট সহ থানা ও অন্যান্য দপ্তরে প্রেরণ করেছি। আত্মসাৎ এর পূর্ন বিবরন পর্যালোচনা ও তদন্ত সাপেক্ষে ফেরৎ পেতে এবং ফারুক রিপনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সমিতির সকল সদস্যদের পক্ষ থেকে আমি বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেছি।

দ্রæত সময়ের মধ্যে থানা পুলিশ তদন্ত পূর্বক এ বিষয়ে সুষ্ঠু সুন্দর সমাধান দিয়ে গ্রাহকদের পাওনা অর্থ ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে আমি আশা করছি।

এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির সাব-ইন্সপেক্টর শওকত ইমাম বলেন, গোধূলি সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ সমির হোসেনের একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমির প্রযোজনীয় কাগজপত্র ও ডকুমেন্টস দাখিল করেছে। বিবাদীকে ডাকা হয়েছিল এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে না আসায় তাকে সময় দেওয়া হয়েছে। আজ বিবাদী আসলে ডকুমেন্টস দেখে দুই পক্ষকে নিয়ে বসা হবে। সমঝোতায় না হলে তাদেরকে কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।