ভারতে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভ দ্রুত সহিংস রূপ নেয়। জাতীয় ১২নং সড়কে শতাধিক মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং ট্রাকসহ একাধিক যানবাহনে ভাঙচুর চালান। উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে। পরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে শাজুরমোড়, ধুলিয়ান এবং সুতি সংলগ্ন এলাকায়।
গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর নাম মোশারফ হোসেন। তার বাবা জানান, মোশারফ বাজারে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। তার বুকে গুলি লাগায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার সকালে তাকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার পর মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন এবং সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র জানান, “অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত ১১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
শনিবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও বিএসএফ। সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান মোড়ে টহল দিচ্ছে যৌথ বাহিনী। শনিবার রাতে সামশেরগঞ্জের ডাকবাংলো ট্রাফিক গার্ডে অগ্নিসংযোগ এবং অজিমগঞ্জে রেলের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তবে শান্তি ফিরিয়ে আনতে জেলাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।