বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা সাকিব আল হাসান এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা এই অলরাউন্ডারকে ঘিরে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে বিভ্রান্তিকর তথ্য। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ফটোকার্ডে দাবি করা হয়েছে, তিনি ফিলিস্তিন ও গাজাকে ১০ কোটি টাকা সহায়তা করেছেন। ফটোকার্ডটিতে যমুনা টিভির লোগো থাকলেও, সেটিকে ভুয়া ঘোষণা করেছে ‘রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ’ নামের একটি গ্রুপ।
গত ৯ এপ্রিল রিউমর স্ক্যানার গ্রুপে তানভীর মাহাতাব আবির নামের একজন ব্যবহারকারী জানান, যমুনা টিভি এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। ফলে বিষয়টি একটি মনগড়া গুজব হিসেবে চিহ্নিত হয়।
এছাড়া গত বছর দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সাকিবের নীরবতা এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে তার রাজনৈতিক পরিচিতি নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়। এসব কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি। এমনকি দেশের মাটিতে টেস্ট খেলে অবসরের ইচ্ছাও পূরণ হয়নি এই ক্রিকেটারের।
এদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের প্রায় দুই দশক পর, গত বছর ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে গিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ অ্যাকশনে বোলিং করার অভিযোগ ওঠে সাকিবের বিরুদ্ধে। প্রথম দুই পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেও তৃতীয়বারে সাফল্যের মুখ দেখেন তিনি। এরপর ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম ও ভারতে তার পারফরম্যান্স সন্তোষজনক না হওয়ায় জাতীয় দলে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
সব মিলিয়ে গুজব, রাজনৈতিক বিতর্ক ও পারফরম্যান্সের প্রশ্ন—তিনটি দিক থেকেই চাপে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। জাতীয় দলে তার প্রত্যাবর্তন আদৌ হবে কিনা, সেটিই এখন সময়ের অপেক্ষা।