বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে বিএনপি সর্বপ্রথম তাকে অভিনন্দন জানাবে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ আয়োজিত ‘সংস্কার, জাতীয় নির্বাচন ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, “ছাত্ররা একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে, যার বিরোধিতা অনেকে করলেও আমরা করিনি। ড. ইউনূস সত্যবাদী, সাহসী ও বিবেকবান মানুষ। তার যেহেতু এতোই বিবেক, তাহলে আমি বলব—পদত্যাগ করে রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিন, নির্বাচনে অংশ নিন। জনগণ যদি ভোট দেয়, বিএনপি আপনাকে সর্বপ্রথম অভিনন্দন জানাবে।”
আওয়ামী লীগের শাসনামল নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বিএনপির ৫০ লাখ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসাহীন অবস্থায় জেলে রাখা হয়েছে। বিএনপি যে ধরনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে, অন্য কোনো দল তা পারে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে। নইলে বলব, হাসিনার দিকে তাকান।”
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে দুদু বলেন, “শহীদ জিয়া প্রমাণ করেছেন একজন মানুষ কীভাবে দেশের জন্য নিবেদিত হতে পারেন। তার হাত ধরে যে দলের জন্ম, সেই বিএনপি আজ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় হুমকি। বিএনপির মূল দর্শন গণতন্ত্র। শেখ মুজিবের সাড়ে তিন বছরের শাসন ছিল ফ্যাসিজমের চূড়ান্ত রূপ। তিনি কোনো বিরোধী দলকে দাঁড়াতে দেননি, সিরাজ শিকদারের মতো নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল, আর দুর্ভিক্ষে লাখো মানুষ মারা গেলেও তখন তিনি ছেলের বিয়েতে সোনার মুকুট পরিয়ে উৎসব করেছেন।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি এস. এম. মিজানুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদারসহ অনেকে।