Dhaka 9:25 pm, Sunday, 17 August 2025

‘হাত-পা থেকে গড়িয়ে পড়ত র’ক্ত, এরপরও মার থামায়নি, গোসলে দিত ঠান্ডা পানি’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফের হাতে আটক ফিলিস্তিনিদের ওপর ভয়াবহ শা’রী’রিক ও মানসিক নির্যা’ত’নের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া পাঁচ ফিলিস্তিনির সাক্ষাৎকারে সেই নির্মমতার চিত্র উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানান, রাসায়নিক দিয়ে শরীর ঝলসে দেওয়া, বৈদ্যুতিক শক, ”যৌ”’ন নি’র্যাতন এবং নিষ্ঠুর শারীরিক নিপীড়নের মতো ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁদের।

মোহাম্মদ আবু তাওয়িলেহ নামের এক নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জানান, তার মাথা রাসায়নিক ভর্তি বালতিতে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে চোখ ও মাথায় মারধর করা হয়। তিনি বলেন, “চোখ এখনো জ্বালাপোড়া করে, শরীর চুলকায়, ক্ষত সারেনি। কোনো কাজ করতে পারি না।”

৩৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ পেশায় মিস্ত্রি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর তাকে আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। একইভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আরও চার ফিলিস্তিনি, যারা সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

আব্দুল করিম মুস্তফা নামে এক বন্দি বলেন, “তারা আমার হাত ও চোখ বেঁধে মারধর করতো। হাত-পা থেকে রক্ত পড়তো। টানা তিন দিন পানি দেয়নি। পা ফুলে গিয়েছিল, কোনো চিকিৎসা মেলেনি। গোসলের জন্য মাত্র ৩ মিনিট সময় দিত, আর পানি হতো ঠান্ডা।”

আরেকজন, আহমেদ আবু সেইফ, জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার পায়ের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, “আমাদের বৈদ্যুতি’ক শক দেওয়া হতো, কুকুর দিয়ে ভয় দেখানো হতো’ এবং ”যৌ”’ন’ নির্যা’তন ‘চালা’নো হতো। এমন অবস্থায় আমি একজন বন্দির ‘মৃ’ত্যু’ দেখেছি।”

বিনা অভিযোগে ফিলিস্তিনিদের অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখার অভিযোগ বহুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই প্রক্রিয়াকে একতরফা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের এস এস সি-২০২৫ জিপিএ- ৫ প্রাপ্ত কৃতি ল্যাবরেটরিয়ানদের সংবর্ধনা প্রদান

‘হাত-পা থেকে গড়িয়ে পড়ত র’ক্ত, এরপরও মার থামায়নি, গোসলে দিত ঠান্ডা পানি’

প্রকাশঃ 06:10:25 am, Wednesday, 9 April 2025

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফের হাতে আটক ফিলিস্তিনিদের ওপর ভয়াবহ শা’রী’রিক ও মানসিক নির্যা’ত’নের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া পাঁচ ফিলিস্তিনির সাক্ষাৎকারে সেই নির্মমতার চিত্র উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানান, রাসায়নিক দিয়ে শরীর ঝলসে দেওয়া, বৈদ্যুতিক শক, ”যৌ”’ন নি’র্যাতন এবং নিষ্ঠুর শারীরিক নিপীড়নের মতো ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁদের।

মোহাম্মদ আবু তাওয়িলেহ নামের এক নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জানান, তার মাথা রাসায়নিক ভর্তি বালতিতে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে চোখ ও মাথায় মারধর করা হয়। তিনি বলেন, “চোখ এখনো জ্বালাপোড়া করে, শরীর চুলকায়, ক্ষত সারেনি। কোনো কাজ করতে পারি না।”

৩৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ পেশায় মিস্ত্রি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর তাকে আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। একইভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আরও চার ফিলিস্তিনি, যারা সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

আব্দুল করিম মুস্তফা নামে এক বন্দি বলেন, “তারা আমার হাত ও চোখ বেঁধে মারধর করতো। হাত-পা থেকে রক্ত পড়তো। টানা তিন দিন পানি দেয়নি। পা ফুলে গিয়েছিল, কোনো চিকিৎসা মেলেনি। গোসলের জন্য মাত্র ৩ মিনিট সময় দিত, আর পানি হতো ঠান্ডা।”

আরেকজন, আহমেদ আবু সেইফ, জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার পায়ের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, “আমাদের বৈদ্যুতি’ক শক দেওয়া হতো, কুকুর দিয়ে ভয় দেখানো হতো’ এবং ”যৌ”’ন’ নির্যা’তন ‘চালা’নো হতো। এমন অবস্থায় আমি একজন বন্দির ‘মৃ’ত্যু’ দেখেছি।”

বিনা অভিযোগে ফিলিস্তিনিদের অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখার অভিযোগ বহুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই প্রক্রিয়াকে একতরফা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।