Dhaka 2:54 am, Monday, 18 August 2025

ডুমুুরিয়ায় বাতিল হওয়া প্রকল্পের টাকা পিআও’র পকেটে !

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাতিল হওয়া প্রকল্পের টাকা নিজ পকেটস্থ করার অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না করায় টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশনা দিলেও টাকা ফেরত না দিয়ে সেসব প্রকল্পের টাকাও হস্তগত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানা গেছে।
জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের গুটুদিয়া মোড় থেকে ডুমুরিয়া মহিলা কলেজ পর্যন্ত খাল খননের জন্য ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়। ওই প্রকল্পটিতে শুরুতে মূল খঅল খনন না করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা- সাতকআষীরা সড়কের ওই অংশের রাস্তার পাশ কেটে সেই মাটি দিয়ে দু’ধার উচু করে একটি ড্রেনের মত করা হচ্ছিল।

 

এ সময়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় সেই কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় প্রকল্পটি বাতিল করে নির্দিষ্ট কোডে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে চিঠি দেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার।এরই প্রেক্ষিতে গত ৩ আগস্ট রোববার প্রকল্পের চেয়ারম্যান (পিআইসি)  ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মেহেদী হাসান মিন্টু টাকা জমা দেয়ার জন্য ট্রেজারী চালানের কোড নিশ্চিত হতে পিআইও অফিসে যান। কিন্তু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদ বলেন, টাকা আমার কাছে দিযে যান আমি দেখব কি করা যায়। কিন্তু গত  ১০ দিনেও ওই টাকা তিনি ব্যাংকে জমা না দিয়ে পকেটস্থ করেছেন।

এ বিষয়ে মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, পিআইও সাহেব আমার কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়েছে। কিন্তু ব্যাংকে এখনও জমা দেয়নি বলে জানতে পেরেছি।
এছাড়া একই ইউনিয়নের আলাইপুর কালভার্ট হতে বাঁশ তলা অভিমুকে ১০ লাখ ৯১ হাজার ৩০০ টাকা ব্যয়ে খাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বরাদ্দকৃত অর্থের টাকার অর্ধেক  ৫লাখ ৪৫ হাজার ৬৫০ টাকা প্রকল্প চেয়ারম্যানকে প্রদান করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় গত ১০ জুলাই উপজেলা নির্বাহি অফিসার ওই টাকা ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে ফেরত দিতে দাপ্তরিক চিঠি দেন। কিন্তু সেই টাকা এখনও ফেরত দেয়নি পিআইসি মহিলা সদস্য বন্দনা রানী কবিরাজ।

মহিলা সদস্য বন্দনা রানী কবিরাজ জানান, প্রকল্পের টাকা এখনও ফেরত দেয়া হয়নি।

ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদ বলেন, আমি টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা নিয়েছি। অবাস্তবায়িত অন্যান্য প্রকল্পের টাকা ফেরত নেয়ার জন্য তাদেরকে দাপ্তরিক পত্র দেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জেলা ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ( ডিআরআরও) মোঃ আব্দুল করিম বলেন, সরকারি কোন অর্থ নগদ নেয়ার কোন বিধান নেই। ডুমুরিয়ার পিআইওকে  ফেরত দেয়ার অর্থ ট্রেজারী চালানের কপি তার দপ্তরে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের এস এস সি-২০২৫ জিপিএ- ৫ প্রাপ্ত কৃতি ল্যাবরেটরিয়ানদের সংবর্ধনা প্রদান

ডুমুুরিয়ায় বাতিল হওয়া প্রকল্পের টাকা পিআও’র পকেটে !

প্রকাশঃ 02:37:45 pm, Tuesday, 12 August 2025

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাতিল হওয়া প্রকল্পের টাকা নিজ পকেটস্থ করার অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না করায় টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশনা দিলেও টাকা ফেরত না দিয়ে সেসব প্রকল্পের টাকাও হস্তগত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানা গেছে।
জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের গুটুদিয়া মোড় থেকে ডুমুরিয়া মহিলা কলেজ পর্যন্ত খাল খননের জন্য ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়। ওই প্রকল্পটিতে শুরুতে মূল খঅল খনন না করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা- সাতকআষীরা সড়কের ওই অংশের রাস্তার পাশ কেটে সেই মাটি দিয়ে দু’ধার উচু করে একটি ড্রেনের মত করা হচ্ছিল।

 

এ সময়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় সেই কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় প্রকল্পটি বাতিল করে নির্দিষ্ট কোডে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে চিঠি দেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার।এরই প্রেক্ষিতে গত ৩ আগস্ট রোববার প্রকল্পের চেয়ারম্যান (পিআইসি)  ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মেহেদী হাসান মিন্টু টাকা জমা দেয়ার জন্য ট্রেজারী চালানের কোড নিশ্চিত হতে পিআইও অফিসে যান। কিন্তু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদ বলেন, টাকা আমার কাছে দিযে যান আমি দেখব কি করা যায়। কিন্তু গত  ১০ দিনেও ওই টাকা তিনি ব্যাংকে জমা না দিয়ে পকেটস্থ করেছেন।

এ বিষয়ে মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, পিআইও সাহেব আমার কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়েছে। কিন্তু ব্যাংকে এখনও জমা দেয়নি বলে জানতে পেরেছি।
এছাড়া একই ইউনিয়নের আলাইপুর কালভার্ট হতে বাঁশ তলা অভিমুকে ১০ লাখ ৯১ হাজার ৩০০ টাকা ব্যয়ে খাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বরাদ্দকৃত অর্থের টাকার অর্ধেক  ৫লাখ ৪৫ হাজার ৬৫০ টাকা প্রকল্প চেয়ারম্যানকে প্রদান করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় গত ১০ জুলাই উপজেলা নির্বাহি অফিসার ওই টাকা ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে ফেরত দিতে দাপ্তরিক চিঠি দেন। কিন্তু সেই টাকা এখনও ফেরত দেয়নি পিআইসি মহিলা সদস্য বন্দনা রানী কবিরাজ।

মহিলা সদস্য বন্দনা রানী কবিরাজ জানান, প্রকল্পের টাকা এখনও ফেরত দেয়া হয়নি।

ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদ বলেন, আমি টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা নিয়েছি। অবাস্তবায়িত অন্যান্য প্রকল্পের টাকা ফেরত নেয়ার জন্য তাদেরকে দাপ্তরিক পত্র দেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জেলা ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ( ডিআরআরও) মোঃ আব্দুল করিম বলেন, সরকারি কোন অর্থ নগদ নেয়ার কোন বিধান নেই। ডুমুরিয়ার পিআইওকে  ফেরত দেয়ার অর্থ ট্রেজারী চালানের কপি তার দপ্তরে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।