ভিকটিম সবুজ হাওলাদার পেশায় ওয়াসার শ্রমিক। পূর্বের ন্যায় ঘটনার দিন গত ০২ জুন ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ১২:১৫ টায় কাজ শেষে ভিকটিম ও তার বন্ধু মোঃ রানা খান বাসায় ফেরার সময় সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ময়লাপোতা নূরানী মহল্লাস্থ মোল্লার কাঠের গোল্লার সামনে পৌঁছালে মামলার অন্যান্য আসামির সহযোগীতায় ১নং আসামি কথা আছে বলে পথ রোধ করে। কথা বলার একপর্যায়ে ভিকটিমের সাথে আসামিদের ধস্তাধস্তি হলে ০১ নং আসামির কোমড়ে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে বুকের মাঝখানে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার বন্ধু পালিয়ে যায়। ভিকটিম সবুজের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তাঁরা দ্রুত পালিয়ে যান। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ০৩ জুন ২০২৫ তারিখ আনুমানিক রাত্র ১ টায় ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ভিকটিম সবুজ হাওলাদারের পিতা বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত বিষয়টি জানার পর হতে র্যাব-৬, খুলনা আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ জুন ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ২:৫৫ টার সময় র্যাব-৬, (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেএমপি, খুলনা সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন গ্রামীন আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর সবুজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোঃ সজিব আহমেদ ভাগিনা সজিব (২০), পিতা- মোঃ কবির আহমেদ, মাতা- জহুরা বেগম, সাং- আইজগাতি, বড় মন্দির, থানা- রূপসা, জেলা- খুলনাকে গ্রেফতার করে।
পরবর্তী আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামিকে কেএমপি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়।