ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপছে ইসরায়েল। দখলদারদের বিভিন্ন শহরে বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিস্ফোরণগুলো এতই ভয়াবহ যে গোটা শহর কেঁপে উঠছে। এমনই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিলেন এক ইসরায়েলি।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সবকিছু কাঁপছিল’- ইসরায়েলিরা তেলআবিবে ইরানের হামলার বর্ণনা এভাবেই দিচ্ছে।
ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার পর ইসরায়েলি দমকলকর্মীরা তেলআবিবের একটি উঁচু ভবনে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করছে। ভুক্তভোগী এক বাসিন্দা চেন গ্যাবিজন বলেন, তিনি সতর্কতা পাওয়ার পর একটি ভূগর্ভস্থ আশ্রয়স্থলে দৌড়ে যান। কয়েক মিনিট পরে আমরা একটি খুব বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেলাম। সবকিছু কাঁপছিল। ধোঁয়া, ধুলো ছিল সর্বত্র।
তিনি বলেন, যথাসময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে না পারলে তারা কেউ বেঁচে থাকতেন না।
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলজুড়ে বিভিন্ন স্থানের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এতে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।
‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের দেড় শতাধিক স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। শুক্রবার রাতে ইসলামিক বিপ্লব গার্ড কর্পসের (আইআরজিসিতে) উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদি বাহিদি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, দেড় শতাধিক স্থানে এই হামলা চালানো হয়।
তাসনিম নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, ইরান বিশেষ করে নেভাতিম ও ওভদা ঘাঁটি দুটোকে লক্ষ্য করে, কারণ এই ঘাঁটি দুটোই ছিল ইরানে হামলা চালাতে ব্যবহৃত প্রধান কেন্দ্র ও কমান্ড ও ওয়ারফেয়ার ঘাঁটি।
এ ছাড়া রাজধানী তেলআবিবের কাছে টেল নোফ ঘাঁটি, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও শিল্প স্থাপনাও হামলার কবলে পড়ে।
অপারেশনটি কয়েকটি পর্বে শেষ হয় এবং মোট কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়, যা অনেক স্থানে প্রবল বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটায়।
ইরানি কমান্ডাররা বলছেন, এটি ছিল ইরানি ভূখণ্ড ও পারমাণবিক বিশেষজ্ঞ ও সেনা কমান্ডারদের ওপর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক হামলার জবাব।