আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের হামলা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং আকাশপথ বন্ধ থাকার খবর বাদশাহ অবগত হয়েছেন। তিনি আটকে পড়া হাজিদের ব্যাপারে শুক্রবার (১৩ জুন) গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যতদিন পর্যন্ত ইরানি হজযাত্রীরা নিরাপদে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারছেন, ততদিন এ সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছেন তিনি।
সৌদি প্রেস এজেন্সির মতে, ইরানি হজযাত্রীদের সহায়তার পরিকল্পনা বাদশাহ সালমানের সামনে উপস্থাপন করেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এরপর বাদশাহ নির্দেশ দেন, হাজিদের জন্য যা যা প্রয়োজন তা যেন সরবরাহ করা হয়।
এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়কে। মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করবে, এসব হজযাত্রী যেন নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্য এবং সম্মানের সঙ্গে সৌদিতে অবস্থান করতে পারেন। যতদিন ইরানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং তারা দেশে ফিরে যেতে পারেন ততদিন হাজিরা সৌদিতে থাকতে পারবেন।
আলজাজিরার বিশ্লেষণ / যুক্তরাষ্ট্রকে সংঘাতে জড়িয়ে ইরানে সরকার পতনের পরিকল্পনা
এদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ইরানের সমর্থন বাড়ছে। সৌদি আরব, তুরস্কসহ মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি এবার ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইরানের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণকে ‘নব্য-নাৎসি ইহুদিবাদ’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন।
এক বিবৃতিতে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ইরানে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের নিন্দা করেছেন। তিনি এ কাজকে আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘনকারী হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এটি ‘অপরাধমূলক আক্রমণ’।
মাদুরো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুদ্ধকে না, ফ্যাসিবাদকে না, নব্য-নাৎসি ইহুদিবাদকে না বলুন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একবিংশ শতাব্দীর হিটলার।