আজ ১লা জুন রবিবার, ঠিক দুপুর দুটোয়, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে, পশ্চিমবঙ্গ ভারতীয় জনতা পার্টির আহবানে, বিজয় সংকল্প- কার্যকর্তা সম্মেলন এর আয়োজন। এই সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আবাসন মন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২৬শে তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায় ঘন্টার কর্মসূচী এবং কর্মীদের প্রস্তুতির আহ্বান।
আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মঙ্গল পান্ডে, সুনীল বানশাল, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ ও মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, ছাড়া উপস্থিত ছিলেন তমগ্ন ঘোষ, ইন্দ্রনীল খান, রুদ্রনীল ঘোষ, অঙ্কুশ, রাহুল সিনহা, অমিতাভ চক্রবর্তী, তাপস রায়, বিভিন্ন জেলার আধিকারিকরা ও কার্যকর্তারা উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী শর্মিষ্ঠা রায়, আর গানের মধ্য দিয়ে আজকের এই সম্মেলন শুরু হয়। বন্দেমাতরম গেয়ে আজকের এই সুন্দর অনুষ্ঠান আলোকিত হয়ে ওঠে।
এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে উত্তরীয় পরিয়ে এবং হাতে একটি ঠাকুরের মূর্তি দিয়ে সম্মানিত করেন,
আজকের সম্মেলন মঞ্চে দাঁড়িয়ে, অমিত সাহ জী, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, তীব্রভাবে আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে, তাহার কার্যকলাপ এবং অত্যাচারের বর্ণনা , টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনা এবং ভুয়ো পিএইচ ডি ডিগ্রী, শিক্ষক শিক্ষিকাদের পথে বসানো,, তাহার সাথে সাথে সিঁদুর নিয়ে মহিলাদের অপমান, নিজে পুলিশ মন্ত্রী হয়ে একজন সামান্য নেতা অস্রাব্য ভাষায় একজন পুলিশ অফিসারের বউ কে, মাকে গালাগালি দেয়, তাদের ইজ্জত নিয়ে কথা বলে, পাকিস্তানকে সাপোর্ট করে, লজ্জা হওয়া দরকার, জন মহিলা মন্ত্রী হয়ে এইভাবে দেশের প্রতিটি মানুষকে ঠকাচ্ছে, আর সেই সকল চোরদের বাঁচানোর জন্য নিরীহ মানুষদের উপর অত্যাচার করে চলেছে নিরীহ শিক্ষকদের উপর অত্যাচার করছে করে চলেছে আজ সেই সকল বর্ণনা তুলে ধরলেন। এর সাথে সাথে ভারতীয় জনতা পার্টির সকল সদস্যকে পঞ্চ থেকে এক মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করলেন, ব্ল্যাক দিবস যোগা দিবস, বৃক্ষরোপণ থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মসূচি গুলি জানিয়ে দেন।
আজ অমিত সাহ জী সকাল ১১ টা থেকে ১২:২০ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি সেরে নেতাজির উপস্থিত হন এবং কর্মসূচির আগে সি এফ এস এল এর নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।
মঞ্চে ভাষণ এর সাথে সাথে, একটা ট্র্যাক লাইন, বারবার ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন,
হিন্দু যদি বাঁচতে চাও, বিজেপিতে যোগ দাও,
হীরক রানী বাই বাই, চোরেদের রানী বাই বাই,
বাংলার মানুষ তোমাকে আর চায়না, ২০২৬ এ বাংলার মানুষ জবাব দেবে, আপনি মেয়েদের সিঁদুর নিয়ে যেভাবে খেলা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কে অপমান করেছেন তার শাস্তি আপনাকে পেতেই হবে। যে সিঁদুর নিয়ে দেশ কে রক্ষা করছে, যে সিঁদুর নিয়ে ভারতীয় সেনারা পাকিস্তানকে হারালো, সেই সিদুর কে আপনি তুচ্ছ করছেন, মেয়েদের সম্মানহানি করছেন,
আরএকটা কথা জেনে রাখবেন, আপনি মেয়েদের সিঁদুর নিয়ে কেনাবেচা করতে পারেন, আপনার নেতারা কেনাবেচা করতে পারে, কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি, এবং নরেন্দ্র মোদি সরকার, মেয়েদের সিঁদুর নিয়ে খেলা করে না বিক্রি করে না, তাহারা মেয়েদের সম্মান দেয় যা আমি দিতে পারেননি,তাই আপনার লজ্জা হওয়া দরকার, মেয়েদের সুরক্ষাটুকু পর্যন্ত দিতে পারেন না,
আমি সোনার বাংলা গড়ার নামে, গুন্ডামি, চুরি, অত্যাচার, মহিলাদের ধর্ষণ, শিক্ষকদের মারধর, চাকরি চুরি,
এসএসসি, প্রধানমন্ত্রী আবাসন যোজনা, ডিএ, কয়লা চুরি, রেশন চুড়ি, মিড ডে মিলের টাকা চুরি, অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সমস্ত কিছুতে গাফিলোতি, কোটি কোটি টাকার হিসাব নয় ছয়, সাধারণ মানুষ বুঝে গেছে,
তাই আপনি মোদিজীর আইন নিয়ে ভয় পাচ্ছেন, কিন্তু সাধারণ মানুষ চাইছে, আজ মঞ্চের চতুর্দিকে হাজার হাজার মানুষ সাপোর্ট করছে, এই আইনকে, আপনি হাজারো চেষ্টা করলেও নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন না ,দলকে রক্ষা করতে পারবেন না, ২০২৬-এ আপনাকে বিদায় নিতে হবে। জনগণ আপনাকে বিদায় দেবে। তৈরি হন। আপনি যেভাবে হিন্দুদের উপর অত্যাচার করেছেন,আর মেনে নেওয়া যাবে না, মহিলারা সুরক্ষিত নয়,
তাই এবার ভারতীয় জনতা পার্টি, এই মঞ্চ থেকে ঘোষণা করছে, যদি আমাদের কোন সদস্যর গায়ে একটা লাঠি পরে, থেকে পাল্টা লাঠি খেতে হবে, ও জনতা পার্টির সদস্যরা চুপ করে থাকবে না, সমস্ত হিসাব বুঝে নেবে, এই দিনের জন্য তৈরি থাকুন, নাকি হিড় হির করে ১৪ তলা থেকে নিচে নামাবে।
আজকের মঞ্চ থেকে একের পর এক যত তোর ডাকছেন, ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যরা ও কর্মকর্তারা, জয় শ্রী রাম স্লোগানে ভরিয়ে তুলছেন, জয় অমিত জী জয়, জয় প্রধানমন্ত্রী জয়, জয় ভারতীয় জনতা পার্টির জয়, হাততালির পর হাততালি, মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে নতুন সূর্যোদয়ের আহ্বান , শান্তির আহ্বান ডাকলেন, এরপর জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে আজকের এই সভা শেষ করেন।