বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জোয়ারে সরকার পতনের পর গ্রেপ্তার ও পলাতক অবস্থায় থাকা বরিশালের আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের বাড়ি ও জমিজমা কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের অন্তত তিনজন নেতা এবং সরকারের এক সাবেক আমলার সম্পত্তি বিক্রি চূড়ান্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী খায়রুল ইসলাম, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম, বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে আসা ব্যারিস্টার শাহাজান ওমর এবং মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা নীরব হোসেন টুটুল।
বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে খায়রুল ইসলামের বরিশালের রূপাতলী গ্যাস টারবাইন সড়কের প্রবেশমুখে অবস্থিত সাত একরের বাগানবাড়ি। এই সম্পত্তি মহানগর বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার কাছে বিক্রির চূড়ান্ত চুক্তি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা সূত্র। শতকোটি টাকার মূল্যমান হলেও তা অনেক কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, নগরীর নবগ্রাম রোডে অবস্থিত জাহিদ ফারুক শামিমের ‘বেগম ভিলা’ নামক পাঁচতলা ভবনটি জানুয়ারিতে আড়াই কোটি টাকায় বিক্রি হয়ে গেছে। গত বছর ৫ আগস্ট সেখানে কয়েক দফা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে শামিম বিভিন্ন মামলায় কারাবন্দি।
অন্যদিকে, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমরের ব্র্যান্ড কম্পাউন্ড এলাকার ডুপ্লেক্স বাড়িটিও বিক্রি হয়েছে অপসোনিন কোম্পানি লিমিটেডের কাছে। তাদের নিরাপত্তাকর্মীরা এখন বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক নীরব হোসেন টুটুল ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নাজিরপুল এলাকার তার ১০ তলা ভবনের অধিকাংশ ফ্ল্যাট এবং সামনের জমির প্লট বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয়দের মতে, ৫ আগস্টের পর থেকেই এসব বাড়ি বিক্রির গুঞ্জন চলছিলো। আন্দোলনের চাপে গ্রেপ্তার, আর্থিক সংকট এবং রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হওয়ায় এসব সম্পত্তি বিক্রি করছেন নেতারা।