অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বল্প পরিসরের সংস্কার প্রক্রিয়ায় একমত হয়, তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে বৃহত্তর সংস্কারের পথ গ্রহণ করা হলে নির্বাচন আগামী বছরের জুনে গড়াতে পারে।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটনের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এটি আমাদের জন্য একটি রূপান্তরমূলক সময়। আমরা প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন এবং অগ্রাধিকার পুনঃনির্ধারণে মনোযোগী হচ্ছি।” তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় দক্ষ জনবলের ঘাটতির কথা তুলে ধরে বলেন, “নার্সিং একটি বৈশ্বিক চাহিদা। আমরা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের জন্য নার্স প্রশিক্ষণে প্রস্তুত।”
সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্য কার্যক্রম প্রায় অকার্যকর উল্লেখ করে ইউনূস যুক্তরাজ্যের সহায়তা কামনা করেন। একই সঙ্গে তিনি সামাজিক ব্যবসার মডেলে সাশ্রয়ী মূল্যে টিকা উৎপাদনে পেটেন্ট সুরক্ষা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান।
বৈঠকে উভয় পক্ষ শিক্ষা, টেক্সটাইল, প্রতিরক্ষা ও বিমান চলাচলসহ বিভিন্ন কৌশলগত খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ড. ইউনূস জানান, “আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, টেক্সটাইল খাত আধুনিকীকরণ এবং প্রতিরক্ষা ও বিমান চলাচলে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র অনুসন্ধানে যুক্তরাজ্যের সহায়তাকে স্বাগত জানাই।”
জেন্ডার সমতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “নারীর ক্ষমতায়ন আমাদের উন্নয়ন কৌশলের কেন্দ্রে রয়েছে।”
ব্যারোনেস উইন্টারটন বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ ও বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক রয়েছে। চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়া সন্তোষজনক।” তিনি সাংবিধানিক সংস্কার কর্মসূচির প্রধান আলী রিয়াজের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।