Dhaka 10:13 pm, Monday, 18 August 2025

হঠাৎ ভারত থেকে এল বড় দুঃসংবাদ, রাতেই জরুরি বৈঠকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা

বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে রফতানিতে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে নয়াদিল্লি। এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে উদ্ভূত জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার (৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর কাওরান বাজারে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কার্যালয়ে বৈঠকে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারও। আলোচনায় উঠে আসে ভারতের সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রভাব এবং সম্ভাব্য করণীয়।

২০২০ সালের ২৯ জুন ভারত সরকারের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) বাংলাদেশকে তাদের একটি শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির সুযোগ দেয়। এর আওতায় স্থল, নৌ এবং আকাশপথে ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশি পণ্য পাঠানো সম্ভব ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভারতের সিবিআইসি সেই আদেশ হঠাৎ করে বাতিল করে দেয়।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে বাংলাদেশি পণ্য ভারতের ভূখণ্ড হয়ে তৃতীয় দেশে রফতানি করা যাবে না। এমনকি বর্তমানে যেসব পণ্যবোঝাই যানবাহন ভারতের অভ্যন্তরে রয়েছে, সেগুলোকে দ্রুত দেশটি ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যের ওপর তাৎক্ষণিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আজকের বৈঠকে সম্ভাব্য ক্ষতি নিরুপণ ও বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগ শুরু করা হতে পারে বলেও আভাস পাওয়া গেছে।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় লাজ ফার্মাকে নকল ওষুধ বিক্রির দায়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

হঠাৎ ভারত থেকে এল বড় দুঃসংবাদ, রাতেই জরুরি বৈঠকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা

প্রকাশঃ 07:16:24 am, Thursday, 10 April 2025

বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে রফতানিতে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে নয়াদিল্লি। এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে উদ্ভূত জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার (৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর কাওরান বাজারে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কার্যালয়ে বৈঠকে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারও। আলোচনায় উঠে আসে ভারতের সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রভাব এবং সম্ভাব্য করণীয়।

২০২০ সালের ২৯ জুন ভারত সরকারের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) বাংলাদেশকে তাদের একটি শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির সুযোগ দেয়। এর আওতায় স্থল, নৌ এবং আকাশপথে ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশি পণ্য পাঠানো সম্ভব ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভারতের সিবিআইসি সেই আদেশ হঠাৎ করে বাতিল করে দেয়।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে বাংলাদেশি পণ্য ভারতের ভূখণ্ড হয়ে তৃতীয় দেশে রফতানি করা যাবে না। এমনকি বর্তমানে যেসব পণ্যবোঝাই যানবাহন ভারতের অভ্যন্তরে রয়েছে, সেগুলোকে দ্রুত দেশটি ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যের ওপর তাৎক্ষণিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আজকের বৈঠকে সম্ভাব্য ক্ষতি নিরুপণ ও বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগ শুরু করা হতে পারে বলেও আভাস পাওয়া গেছে।