Dhaka 10:32 am, Sunday, 17 August 2025

মির্জাপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ফিরোজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফিরোজ আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের নওশের আলীর ছেলে।

ধর্ষক ফিরোজ মিয়াকে পালাতে সহায়তা করায় এবং গ্রাম্য সালিসে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেনকে ১১ মার্চ রাতে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামের ভুট্টাক্ষেত থেকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজাতে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ১৭ ফেব্রুয়ারি মাদরাসা পড়ুয়া দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী নানির বাড়িতে বেড়াতে আসে। নানির বাড়ির পাশে বড়ই পাড়তে যায় ওই শিশু। বড়ই পেরে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করেন ফিরোজ মিয়া। ঘটনার এক সপ্তাহ পর স্থানীয় আব্দুল মালেক, বাবুল ও ফাজুসহ কয়েকজন এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে সালিস করেন।

সালিসে ফিরোজকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
৮ মার্চ শিশুটির মা পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও ২-৩ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, শিশু ধর্ষণের প্রধান আসামি ফিরোজকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া মাতব্বরদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের এস এস সি-২০২৫ জিপিএ- ৫ প্রাপ্ত কৃতি ল্যাবরেটরিয়ানদের সংবর্ধনা প্রদান

মির্জাপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রকাশঃ 01:05:55 pm, Sunday, 16 March 2025

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ফিরোজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফিরোজ আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের নওশের আলীর ছেলে।

ধর্ষক ফিরোজ মিয়াকে পালাতে সহায়তা করায় এবং গ্রাম্য সালিসে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেনকে ১১ মার্চ রাতে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামের ভুট্টাক্ষেত থেকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজাতে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ১৭ ফেব্রুয়ারি মাদরাসা পড়ুয়া দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী নানির বাড়িতে বেড়াতে আসে। নানির বাড়ির পাশে বড়ই পাড়তে যায় ওই শিশু। বড়ই পেরে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করেন ফিরোজ মিয়া। ঘটনার এক সপ্তাহ পর স্থানীয় আব্দুল মালেক, বাবুল ও ফাজুসহ কয়েকজন এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে সালিস করেন।

সালিসে ফিরোজকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
৮ মার্চ শিশুটির মা পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও ২-৩ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, শিশু ধর্ষণের প্রধান আসামি ফিরোজকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া মাতব্বরদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত।