পিরোজপুরে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থীর ৩ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

hamla.webp

দেশের তথ্য ডেস্ক স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি :- পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় সমর্থীত প্রার্থী ফারজানা আক্তারের তিন কর্মীকে কুপিয়ে যখম ও বীর মুক্তিযোদ্ধার বীর নিবাস বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৭ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে। স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমানের ভাই ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়। ওই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মধ্য পাটিকেল বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে।

নৌকা প্রতীকের কর্মী আহত রাসেল মোল্লা জানান, সকাল আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে তিনিসহ নৌকা প্রতীকের ছয়জন কর্মী পূর্ব পাটিকেলবাড়ি ভোটকেন্দ্রে যাবার পথে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ির কাছে পৌঁছলে স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমানের ভাই গাজী ফুলরাজ ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রিয়াজ হোসেন রাজুর নেতৃত্বে অন্তত ২৫ জন তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ফারজানার কর্মীরা ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমানের বাসায় আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা সেখানে ঢুকে ফারজানা আক্তারের কর্মীদের কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরতর জখম করে মেঝেতে ফেলে রাখে। এসময় হামলাকারীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমানের বীর নিবাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আসবাবপত্রসহ ঘরের ক্ষতি সাধন করে ওই স্থান ত্যাগ করে।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
হামলায় গুরুতর আহতরা ফারজানা আক্তারের কর্মীরা হলেন- আলমগীর হোসেন (৪০), তাইজুল মোল্লা (৪৫) ও রাসেল মোল্লা (৩৫)। তাদের মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হয়েছে। আহত আলমগীর হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

বাকি দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফারজানা আক্তার অভিযোগ করেন, নির্বাচনের পূর্ব রাত থেকেই তার কর্মীদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমানের লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় ভোটকেন্দ্র কর্মীশূন্য রাখতেই সকালে তার কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এতে তার কর্মীরা ভোটকেন্দ্রে যেতে সাহস পাচ্ছেন না।

অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধীকবার ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ওসি জাফর আহম্মেদ জানান, এ ব্যাপারে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share this post

PinIt
scroll to top