ভিকটিমের স্বামী ভারতে অবস্থান এবং ভিকটিম পিতার বাড়ী খুলনা জেলার তেরোখাদা থানায় বসবাস করতেন। ভিকটিম এবং আসামি বিল্লো কির্তুনীয়া (৪২), পিতা- মহাদেব কির্তুনীয়া, সাং- উত্তর বিবি আজগড়া (পূর্বপাড়া), থানা- তেরখাদা, জেলা- খুলনার বাড়ী একই গ্রামে অবস্থিত ও পূর্ব পরিচিত। গত ২০২২ সালের মে মাসে ভিকটিম পূর্বের পাওনা টাকার জন্য আসামির বাড়িতে গেলে আসামি কৌশলে ভিকটিমকে তরল পানীয় এর সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে পান করান। ভিকটিম সরল বিশ্বাসে উক্ত পানীয় পান করে ২/৩ ঘন্টা অজ্ঞান হয়ে থাকেন। এ সুযোগে আসামি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারন করে রাখে। ভিকটিম জ্ঞান ফিরে পেলে তিনি যে আসামী কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছেন তা উপলব্ধি করে ভয়ে কিছু না বলে পিতার বাড়ীতে চলে যান। পরবর্তীতে আসামী বিভিন্ন সময়ে উক্ত ভিডিও দিয়ে ভিকটিমকে ব্লাকমেইল করে ভয়ভীতি দেখিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে।পরবর্তীতে ভিকটিম ভারতে অবস্থানরত তার স্বামীর নিকট চলে যান। কিন্তু আসামী পুনরায় ভিকটিমের স্বামীর কাছে উক্ত নগ্ন আপত্তিকর ভিডিও পাঠিয়ে দেন। আসামির এহেন কর্মকান্ডে গত ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে খুলনা জেলার তেরখাদা থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-৬, সদর কোম্পানি আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী ও অভিযান কার্যক্রম চলমান রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৪ মার্চ ২০২৫ দিবাগত রাত ০১১৫ ঘটিকার সময় র্যাব-৬, সদর কোম্পানির আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলার রামপাল থানাধীন ভরসাপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি (১) বিল্লো কির্তুনীয়া (৪২), পিতা- মহাদেব কির্তুনীয়া, সাং- উত্তর বিবি আজগড়া (পূর্বপাড়া), থানা- তেরখাদা, জেলা- খুলনাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে খুলনা জেলার তেরখাদা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।