Dhaka 2:22 pm, Monday, 7 July 2025

কয়রার দিনমজুর আঃ রহিম সবার সহযোগীতায় বাঁচতে চায়

 

কয়রা উপজেলার বাঁশখালী গ্রামের মৃত্যু নূর গাজীর পুত্র আঃ রহিম (৩০) অসহায় ১ জন দীন মজুর। অন্যের মৎস্য ঘেরের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। সেই ঘেরের মাছ মটর সাইকেল যোগে আড়তে বিক্রি করতে যাওয়ার পথে ঘাতক এক ইটের ট্রলি মোটর সাইকেলে আঘাত করে। মুহুর্তে সেখানে আঃ রহিম পড়ে গেলে তার মাথায় ট্রলির ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থল হতে স্থানীয়রা তাকে মারাত্মক অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাৎক্ষণিক সেখান থেকে তার স্বজনরা খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা চালান। তবে অনেক ব্যয় বহুল চিকিৎসা সেবা আর তাকে না দিতে পারায় বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে বাড়ীতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আঃ রহিম। তিনি তার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

অসহায় আঃ রহিমের সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই । ২ছেলে স্ত্রী নিয়ে যা আয় হতো তাই দিয়ে তার সংসার চালাতো। হঠাৎ এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। কোন রকম চিকিৎসা নিয়ে বেঁচে থাকলেও তাকে সুস্থ্য হতে অনেক দেরি হবে। বর্তমানে চিকিৎসা সেবা চললেও ঔষধ কেনার মতো সামর্থ তার নেই। নিজের অসুস্থ্যতা কাটিয়ে উঠতে আঃ রহিম দানশীল ব্যক্তিদের কাছে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন।

তার স্ত্রী নাছিমা খাতুন বলেন, আমার স্বামী গত ১২ জানুয়ারী কয়রা উপজেলার ইসলামপুর মোড়ে ট্রলির সাথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তার মাথায় ব্যাপক আঘাত করে। হাসপাতালে তার মাথার অপারেশন করা হয়েছে। মাথা হতে ৭ টুকরা হাড় বের করা হয়েছে। এখনও পনেরো পার্সেন্ট ড্যামেজ। নড়াচড়া করার সামর্থ নেই তার। মাথার খুলি উল্টে ফেলানো হয়। চিকিৎসা চালাতে গিয়ে আমার পরিবার আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমার স্বামীর চিকিৎসা চালাতে আমি সকলের সহযোগীতা কামনা করছি। সে আবারও আপনাদের সহযোগীতায় সুস্থ্য জীবনে ফিরতে চায়।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, তাকে সুস্থ্য করতে অনেক টাকা লাগবে। টাকা জোগাড় করতে না পারায় আমার স্বামীকে চিকিৎসা না করিয়ে বাড়ী ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হই। তার নিকট আত্মীয় ও এলাকাবাসী বিভিন্ন জায়গায় সহযোগীতা চেয়ে তার চিকিৎসা চালাচ্ছি। সেটিও আর সম্ভব হচ্ছেনা। দিন দিন তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাকে বাঁচাতে হলে মোটা অংকের টাকা দরকার। কোনও হৃদয়বান ব্যক্তি, কিংবা কোনও প্রতিষ্ঠান যদি আঃ রহিমকে আর্থিক সহায়তা করতে চান, তাহলে তার এই মোবাইল নম্বরে বিকাশ করতে পারেন-০১৯৪১২৮০১৩৭।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

স্ত্রী কর্তৃক জোরপূর্বক তালাক নিয়ে হাস্যকর মিথ্যা দ্বিতীয় বিবাহের মামলা

কয়রার দিনমজুর আঃ রহিম সবার সহযোগীতায় বাঁচতে চায়

প্রকাশঃ 05:23:32 pm, Tuesday, 4 March 2025

 

কয়রা উপজেলার বাঁশখালী গ্রামের মৃত্যু নূর গাজীর পুত্র আঃ রহিম (৩০) অসহায় ১ জন দীন মজুর। অন্যের মৎস্য ঘেরের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। সেই ঘেরের মাছ মটর সাইকেল যোগে আড়তে বিক্রি করতে যাওয়ার পথে ঘাতক এক ইটের ট্রলি মোটর সাইকেলে আঘাত করে। মুহুর্তে সেখানে আঃ রহিম পড়ে গেলে তার মাথায় ট্রলির ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থল হতে স্থানীয়রা তাকে মারাত্মক অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাৎক্ষণিক সেখান থেকে তার স্বজনরা খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা চালান। তবে অনেক ব্যয় বহুল চিকিৎসা সেবা আর তাকে না দিতে পারায় বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে বাড়ীতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আঃ রহিম। তিনি তার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

অসহায় আঃ রহিমের সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই । ২ছেলে স্ত্রী নিয়ে যা আয় হতো তাই দিয়ে তার সংসার চালাতো। হঠাৎ এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। কোন রকম চিকিৎসা নিয়ে বেঁচে থাকলেও তাকে সুস্থ্য হতে অনেক দেরি হবে। বর্তমানে চিকিৎসা সেবা চললেও ঔষধ কেনার মতো সামর্থ তার নেই। নিজের অসুস্থ্যতা কাটিয়ে উঠতে আঃ রহিম দানশীল ব্যক্তিদের কাছে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন।

তার স্ত্রী নাছিমা খাতুন বলেন, আমার স্বামী গত ১২ জানুয়ারী কয়রা উপজেলার ইসলামপুর মোড়ে ট্রলির সাথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তার মাথায় ব্যাপক আঘাত করে। হাসপাতালে তার মাথার অপারেশন করা হয়েছে। মাথা হতে ৭ টুকরা হাড় বের করা হয়েছে। এখনও পনেরো পার্সেন্ট ড্যামেজ। নড়াচড়া করার সামর্থ নেই তার। মাথার খুলি উল্টে ফেলানো হয়। চিকিৎসা চালাতে গিয়ে আমার পরিবার আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমার স্বামীর চিকিৎসা চালাতে আমি সকলের সহযোগীতা কামনা করছি। সে আবারও আপনাদের সহযোগীতায় সুস্থ্য জীবনে ফিরতে চায়।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, তাকে সুস্থ্য করতে অনেক টাকা লাগবে। টাকা জোগাড় করতে না পারায় আমার স্বামীকে চিকিৎসা না করিয়ে বাড়ী ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হই। তার নিকট আত্মীয় ও এলাকাবাসী বিভিন্ন জায়গায় সহযোগীতা চেয়ে তার চিকিৎসা চালাচ্ছি। সেটিও আর সম্ভব হচ্ছেনা। দিন দিন তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাকে বাঁচাতে হলে মোটা অংকের টাকা দরকার। কোনও হৃদয়বান ব্যক্তি, কিংবা কোনও প্রতিষ্ঠান যদি আঃ রহিমকে আর্থিক সহায়তা করতে চান, তাহলে তার এই মোবাইল নম্বরে বিকাশ করতে পারেন-০১৯৪১২৮০১৩৭।