দেশের তথ্য ডেস্ক।। নিহত ভিকটিম জামিল সরদার ও আসামীরা পরস্পর আত্মীয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ সকালে মামলার ভিকটিম প্রধান আসামী রইচ সরদারের বিরুদ্ধে তার বাবার কাছে সুপারি চুরির অভিযোগ করে। এতে মামলার অন্যতম প্রধান আসামী রইচ সরদারের বাবা ভিকটিমকে গালিগালাজ ও উল্টো চুরির অপবাদ দেয়। এ নিয়ে ভিকটিমের সাথে আসামীদের বাক-বিতন্ডা বেঁধে যায়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আসামীরা হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন এবং মামলার প্রধান আসামী রইচ সরদার ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিমের বুকের বাম পাশে সজোরে আঘাত করলে ভিকটিম মাটিতে পড়ে যায়। এ সময়ে দেলোয়ার সরদার ও সবুজ সরদার নামের দুইজন এগিয়ে আসলে আসামীরা তাদেরও কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ভিকটিম জামিল সরদারকে মৃত ঘোষনা করে। আহত অন্য দুইজনকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এমন নির্মম হত্যাকান্ড বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং চাঞ্চল্যকর হত্যার সাথে জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬, (সদর কোম্পানি) খুলনা ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং দিবাগত গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট থানাধীন কুলিয়া ঘাতবিলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামী রইচ সরদার (২২), গ্রাম- জয়ডিহি, থানা- মোল্লাহাট, জেলা- বাগেরহাট‘কে হত্যা কান্ডের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামী হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট থানায় হস্তান্তর এর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।