অর্থপাচারের সন্দেহজনক লেনদেন ব্যাপকহারে বেড়েছে

-টাকা.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।। আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) ও সন্দেহজনক কার্যক্রম ব্যাপকহারে বেড়েছে। গেল ২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ১৪ হাজার ১০৬টি। এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬৪ দশ‌মিক ৫৭ শতাংশ বা ৫ হাজার ৫৩৫টি। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি এবং ২০২০-২১ ছিল ৫ হাজার ২৮০টি।

এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এমন লেনদেন ও কার্যক্রম হয়েছিল ৩ হাজার ৬৭৫টি। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এমন লেনদেন ও কার্যক্রম হয়েছিল ৩ হাজার ৫৭৩টি।

অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের কেন্দ্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়া‌রি) বাংলাদেশ ব্যাংকে বিএফআইইউ এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।

সংবাদ সম্মেলনে জানা‌নো হয়, সব সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) অপরাধ নয়। লেন‌দেন সন্দেহজনক হ‌লে তদন্ত ক‌রি। এরপর য‌দি কো‌নো অপরা‌ধের তথ্য প্রমাণ ‌মি‌লে তাহ‌লে আমরা তা‌দের বিরু‌দ্ধে ব্যবস্থা নিই।

বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, মানি লন্ড্রারিং‌য়ের ৮০ শতাংশ হ‌য় ব্যাং‌কের মাধ্যমে। ব্যাংক য‌দি এ‌টি ব‌ন্ধে সহযো‌গিতা না করে তাহলে নিয়ন্ত্রণ করা ক‌ঠিন। কারণ একবার মানি লন্ড্রারিং হ‌য়ে গেলে তা ফেরত আনা যায় না।

‌তি‌নি জানান, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা ও সহযোগিতার জন্য ১০ দে‌শের স‌ঙ্গে এমওইউর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে বিএফআইইউর প্রধান বলেন, বিএফআইইউর তথ্যে ভিত্তিতে অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে ৫৯টি। এর ম‌ধ্যে দুদক মামলা করেছে ৪৭টি, সিআই‌ডি ১০টি এবং এন‌বিআরের বিশেষ সেল ২টি। এগুলো এখনো এখনো নিষ্পত্তি হয়‌নি।

বিএফআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরো অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৮০৯টি সন্দেহজনক লেনদেনের রিপোর্ট জমা দিয়েছে ব্যাংকগুলো। তার আগের অর্থবছরে ৭ হাজার ৯৯৯টি রিপোর্ট জমা দিয়েছিল ব্যাংকগুলো। আ‌র্থিক প্র‌তিষ্ঠা‌নগু‌লো রিপোর্ট জমা দেয় ১২১টি। আর এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো ৯০০ রি‌পোর্ট জমা দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএফআইইউ নির্বাহী প‌রিচালক র‌ফিকুল ইসলাম, বৈ‌দে‌শিক মুদ্রা ও নী‌তি বিভা‌গের প‌রিচালক সা‌রোয়ার হো‌সেন, অ‌তি‌রিক্ত প‌রিচালক কামাল হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

Share this post

PinIt
scroll to top