শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা।। ১৫ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার, সকাল থেকেই বাবুঘাটে প্রশাসনিক দিক থেকে এবং কেএম সি র তরফ থেকে নজরদারী চলছে। একে একে প্রতিমা নিয়ে ঘাটে আসছেন স্বরস্বতী প্রতিমা বিসর্জন দিতে, জলে যেন না নামে , তাহার দিকে নজর রাখছেন এবং সকলকে সাবধান করে দিচ্ছেন, যেন কেউ জলে না নামে বারবার মাইকিং এ ঘোষণা করছেন। বৃহস্পতিবার হলেও বাধা মানে না, দিন ক্ষন মানে না, সকাল থেকেই বিসর্জন করতে সরস্বতী প্রতিমা নিয়ে বাবুঘাটে, বাড়ীর পুজো এবং কলেজ ও হসপিটালের পুজো উদ্যোক্তারা আজ প্রতিমা নিয়ে বাবুঘাটে বিসর্জন দিলেন, মনে কিছুটা আনন্দ থাকলেও সবার মন গভীর, আবার একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে মাকে আনার জন্য। আজ বাবুঘাটে দেখা গেল জে এন রায় হসপিটালের পুজো উদ্যোক্তারা, ৪৮ তম বর্ষে সরস্বতী প্রতিমার বিসর্জন দিলেন, কিছুক্ষণ পরেই বঙ্গবাসী কমার্স কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এবং আরো বেশ কয়েকটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা আবীর মেখে ও ঢাকের বাদ্যির তালে তালে আনন্দ করতে করতে প্রতিমা বিসর্জন দিলেন ,তাদের মুখে একটাই ধনী ,আসছে বছর আবার হবে, মা আমাদের আসবে ফিরে।, আস্তে আস্তে বিকাল গরিয়ে সন্ধ্যা যত হয়ে আসে, প্রতিমা বিসর্জনের হার আরও বাড়তে থাকে, কেউ ঢাক বাজিয়ে ,কেউ কাঁসার ঘণ্টা বাজিয়ে ,কেউ বা শঙ্খ ও উলু দিয়ে মাকে শেষ বিদায় জানালেন। যত সন্ধ্যা হয়ে আসে,পুলিশ অফিসারেরা গঙ্গার ধারে দাঁড়িয়ে নজরদারী করছেন, প্রতিমা নিয়ে সন্ধ্যায় জলে না নামে। অন্য দিকে দেখা গেল, বিসর্জনের সাথে সাথে ,কেএম সি লোকেরা প্রতিমাকে জল দিকে টেনে তুলে ফেলছেন , যাতে কোনভাবে জলে দূষণ না হয় এবং প্রতিমাগুলিকে ক্রেন, বুলডোজার ও লরির মাধ্যমে তুলে দূরে রেখে আসছেন, বিসর্জন দিতে আসা পূজো উদ্যোগতারা জানালেন, দুদিন ধরে খুব আনন্দ করেছি, হই হুল্লোড় করেছি ,একসাথে সময় কাটিয়েছি। সবাই মিলে প্রতিমাকে সাজিয়েছি, আজ একটু তো মন গভীর হবেই, কিন্তু মাকে তো ধরে রাখা যাবে না, মায়ের কাছে একটা কামনাই করলাম, আমাদের আরো বুদ্ধি দাও। শক্তি দাও, জানো এইভাবে প্রতি বছর তোমায় আনতে পারি।