পাইকগাছায় কাঠগোলা পুড়ে সাড়ে সাত লাখ টাকার ক্ষতি

.jpg

শাহরিয়ার কবির,পাইকগাছা প্রতিনিধি।। খুলনার পাইকগাছায় আগুন লেগে দুটি কাঠগোলা ও একটি আবাসিক বাড়ির কাঠের ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।এতে গোলা দুটির মালিকের অন্তত ৫-৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং আবাসিক বাড়ির কাঠ ঘর পুড়ে দেড় লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পাইকগাছা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বাতিখালী জনতা ব্যাংকের পিছনে দুটি কাঠগোলায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন আগুন দেখতে পেয়ে চেঁচামেচি করে এতে লোকজন জড়ো হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন। কাঠগোলার পার্শ্ববর্তী বাড়ি থেকে দেবাশীষ মন্ডল তার ভাই কমলেশ মন্ডলকে আগুন লাগার ঘটনা জানান।কমলেশ মন্ডল ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে পাইকগাছার পার্শ্ববর্তী উপজেলা কয়রা ও আশাশুনি সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে অবহিত করেন কিন্তু পাইকগাছা উপজেলা থেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলার দূরত্ব ৪০ থেকে ৫০ কি:মি হওয়া সেখান থেকে আসতে আসতে দুটি কাঠগোলা ও একটি আবাসিক বাড়ির কাঠের ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়। জয় মা ফার্নিচার এর মালিক প্রকাশ বাছাড়,পিতা ভিম বাছাড় সাং, মঠবাটি পাইকগাছা। তিনি সাংবাদিকদের জানান, কোনদানি,জালিকাটা মেশিন মটর,রোডার, গ্রান্ডিং, ডিল মেশিন এবং ফার্নিচার দরজা-জানালা, শোকেজ, ওয়ারড্রব, সোফা,মিটসেফ, বসার আসন, আলমারি, মেহগনি ,বাদাম,কাঁঠাল,নিম, শিরিষ, কাঠের তক্তা সহ ৪ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মিজান ফার্নিচার এর মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম,পিতা মৃত, কিনার সরদার, বাতিখালী ৬নং ওয়ার্ড পাইকগাছা।তিনি বলেন আমার ঘরে অনেক টাকার কাঠ ও মেশিন ছিলো যার মূল্য আনুমানিক ২ লক্ষ টাকার অধিক যা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আবাসিক বাড়ির মালিক রেজাউল হক সাংবাদিকদের জানান, আমার একটি কাঠের ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে সেখানে দেড় লাখ টাকার বেশী মালামাল পুড়ে গেছে। আমার ছাদ করার জন্য তক্তা কাটানো ছিলো আবার হাস মুরগী সহ অনেক কিছু ছিলো তাতে দেড় লাখ টাকার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সাতক্ষীরার আশাশুনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কালাম মোড়ল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা রাত ২:১০মি খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি।রাত ৪ টার সময় পুরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ বিষয়ে পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবায়দুর রহমান এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হয় কিন্তু যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Share this post

PinIt
scroll to top