বাগেরহাটে মুরসালিন চৌধুরী হত্যার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৬, ও র্যাব-১২ এর যৌথ আভিযানিক দল
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ জুন ২০২৫ তারিখ ১৮০০ ঘটিকায় র্যাব-৬ খুলনা সদর কোম্পানি, ও র্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়া এর যৌথ অভিযানে কুষ্টিয়া জেলার সদর থানাধীন পৌরসভা রুপনগর আদর্শপাড়া এলাকা হতে মুরসালিন চৌধুরী হত্যার প্রধান পলাতক আসামি ইমাদ চৌধুরী বাবুল (৫৪), পিতা- মৃত সত্তার চৌধুরী, সাং-সিংগাতী, থানা-মোল্লারহাট, জেলা- বাগেরহাটকে গ্রেফতার করতে করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিকটিম ও আসামিরা পরস্পর একই বংশের। প্রায় ৫০ বছরের পারিবারিক এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদে উক্ত এলাকায় প্রায় ৩০ (ত্রিশ) জনের প্রাণহানি হয়। আসামি এবং বাদী পক্ষের মধ্য জমিজমা ও বিজ্ঞ আদালতে মামলা সংক্রান্তের বিবাদ বিদ্যমান আছে। উক্ত বিবাদের জের ধরে ০৭ জুন ২০২৫ পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ৬:৩০ ঘটিকার সময়ে এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা ভিকটিম মুরসালিন চৌধুরী এর বাড়িতে প্রবেশ করে ০১নং আসামি ইমাদ চৌধুরী বাবুল (৫৪), অন্যন্য আসামিদের সহায়তায় ভিকটিম এর পরিবারের লোকজনদের মারপিট শুরু করে । এক পর্যায়ে ০১নং আসামি তার হাতে থাকা সরকী দিয়ে ভিকটিম মুরসালিন চৌধুরী এর গলায় কোপ দিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত রখম করে।পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য ভিকটিম মুরসালিন চৌধুরীকে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল গোপালগঞ্জ্ নিয়ে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ০৭ জুন ২০২৫ তারিখ রাত ২২০০ ঘটিকায় ভিকটিম মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় ১১ জুন ২০২৫ তারিখ ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকেই র্যাব-৬, এর আভিযানিক দল আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।