Dhaka 8:17 pm, Sunday, 6 July 2025

পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযান শুরু, কয়রায় বেড়িবাঁধ থেকে অবৈধ পাইপ অপসারণ

কয়রা প্রতিনিধিঃ অরবিন্দ কুমার মণ্ডল

খুলনার কয়রা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক এক বিশেষ অভিযানে বেড়িবাঁধে স্থাপিত অবৈধ পাইপ অপসারণ করা হয়েছে।

 

৪ জুন বুধবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার ১৩-১৪/২ পোল্ডারে উত্তরবেদকাশী ইউনিয়নের হাজতখালি থেকে কাঠমারচর এলাকা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।

 

অভিযান চলাকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রশাসনের প্রতিনিধি ও পুলিশ ও নৌবাহীনির সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বেড়িবাঁধ কেটে বা ফুটো করে পাইপ বসিয়ে অবৈধভাবে নদীর লবন পানি তুলে চিংড়ি ঘেরে প্রবাহিত করছিল, যা বেঁড়িবাঁধের স্থায়িত্ব ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। উক্ত পাইপ ভাংচুর করা হয়।

 

পাউবোর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সুলতান মাহমুদ বলেন, এসব বেঁড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ বসানোর কারণে বাঁধ দূর্বল হয়ে পড়ছে। উক্ত পাইপ দিয়ে অবৈধভাবে পানি সরবরাহের কারণে নদী ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে। উল্লেখ্য যে স্থান দিয়ে বেড়ীবাঁধ ছিদ্র করে পানি সরানো হয় ঠিক সেই সেই স্থান দিয়ে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হতে দেখা যায়। তাই অবৈধ সংযোগকারীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাঁধের নিরাপত্তা রক্ষায় আরও কঠোর নজরদারি ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

২৪ শের গনঅভ্যুত্থানে সকল শহীদদের স্মরণে ইউনিয়ন জামায়াতের খাবার বিতরণ

পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযান শুরু, কয়রায় বেড়িবাঁধ থেকে অবৈধ পাইপ অপসারণ

প্রকাশঃ 03:26:45 pm, Wednesday, 4 June 2025

কয়রা প্রতিনিধিঃ অরবিন্দ কুমার মণ্ডল

খুলনার কয়রা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক এক বিশেষ অভিযানে বেড়িবাঁধে স্থাপিত অবৈধ পাইপ অপসারণ করা হয়েছে।

 

৪ জুন বুধবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার ১৩-১৪/২ পোল্ডারে উত্তরবেদকাশী ইউনিয়নের হাজতখালি থেকে কাঠমারচর এলাকা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।

 

অভিযান চলাকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রশাসনের প্রতিনিধি ও পুলিশ ও নৌবাহীনির সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বেড়িবাঁধ কেটে বা ফুটো করে পাইপ বসিয়ে অবৈধভাবে নদীর লবন পানি তুলে চিংড়ি ঘেরে প্রবাহিত করছিল, যা বেঁড়িবাঁধের স্থায়িত্ব ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। উক্ত পাইপ ভাংচুর করা হয়।

 

পাউবোর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সুলতান মাহমুদ বলেন, এসব বেঁড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ বসানোর কারণে বাঁধ দূর্বল হয়ে পড়ছে। উক্ত পাইপ দিয়ে অবৈধভাবে পানি সরবরাহের কারণে নদী ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে। উল্লেখ্য যে স্থান দিয়ে বেড়ীবাঁধ ছিদ্র করে পানি সরানো হয় ঠিক সেই সেই স্থান দিয়ে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হতে দেখা যায়। তাই অবৈধ সংযোগকারীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাঁধের নিরাপত্তা রক্ষায় আরও কঠোর নজরদারি ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।