খুলনার চিত্তরঞ্জন হত্যা ও ডাকাতি মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক ০১ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬

.jpg

খুলনার চিত্তরঞ্জন হত্যা ও ডাকাতি মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক ০১ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬

দেশের তথ্য ডেস্ক: ভিকটিম চিত্তরঞ্জন কেএমপি খুলনা সদর থানধীন আমতলা মোড়ে স্বপরিবারে বসবাস করেন এবং তিনি একজন প্রভাষক ছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় পিটিআই মোড়স্থ নিজ নামীয় (চিত্ত স্যারের ব্যাচ) শেষ করে তিনি গত ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখ আনুমানিক রাত ১০:৩০ ঘটিকার দিকে বাসায় ফেরেন। একই রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বাসার জানালার গ্রিল কেটে আসামিরা ভিতরে প্রবেশ করে। ভিকটিম চিত্তরঞ্জন আসামীদের বাধা দিলে আসামীরা ভিকটিমকে হাত পা ও মুখ বেধে হত্যা করে লাশটি খাটের উপর ফেলে রেখে এবং ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ন অলংকার নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় কেএমপি খুলনা সদর থানায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা ও ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামীদের বিরূদ্বে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, খুলনা গত ১১/০৩/২০২১ তারিখ মামলার বিচারকার্য শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ০২ জন আসামীকে মৃত্যুদন্ড সাজা প্রদান করেন। পরবর্তীতে র‌্যাব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে উক্ত আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ র‌্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) এবং র‌্যাব-০৪ (সিপিসি-২) এর একটি যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ২০১৭ সালের খুলনার চাঞ্চল্যকর প্রভাষক চিত্তরঞ্জন হত্যা ও ডাকাতি মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন ভাদাইল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী নড়াইল জেলার কালিয়া থানার মোঃ ইকরামুল মুন্সির ছেলে রাজু মুন্সি ওরফে গলা কাটা রাজু(৩২), কে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীকে কেএমপি খুলনার খুলনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Share this post

PinIt
scroll to top