স্বরূপকাঠি-জগন্নাথকাঠি সড়ক আবারও মেরামত হলো

swarupkathi.webp

দেশের তথ্য ডেস্ক:-  সড়ক মেরামতে অনিয়ম নিয়ে কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পাঁচ দিনের মাথায় পুনরায় ঢালাই দেওয়া হলো পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার স্বরূপকাঠি-জগন্নাথকাঠি সড়কটি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ওই সড়কটি মেরামতের কাজ শেষ হওয়ার মাত্র ১০ দিনের মাথায় বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে দেবে যায়। বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের দেখা দেয়, চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ওই সড়কে কোনপ্রকার যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাও দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে স্বরূপকাঠি-কৃত্তিপাশা সড়কের ব্রিজ, কালভার্টসহ পুনর্নির্মান কাজ চলমান। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্স কাজগুলো করছে। ওই সড়কে স্বরূপকাঠি-জগন্নাথকাঠি নাম দিয়ে পুনরায় মেরামত করার প্রকল্প নেওয়া হয়। সড়কের শুরুতেই স্বরূপকাঠি থেকে জগন্নাথকাঠি পর্যন্ত ৪০০ মিটার অংশে ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তার মেরামতকাজের প্রাক্কলন নেওয়া হয়।

কাজের মূল ঠিকাদার মাইনুদ্দীন বাশি। তার কাছ থেকে শুভ নামে একজন উপ-ঠিকাদার হিসেবে কাজটি কিনে নিয়ে কাজ করেন। একটি চলমান কাজের ওপর মেরামত প্রকল্পের নামে জুন মাসের শেষ দিকে মেরামতের কাজ সন্দেহজনক। এ নিয়ে ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগের কিছু লোকদের যোগসাজসে রাস্তা মেরামতের নামে ২৬ লাখ টাকার হরিলুট হয়েছে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ ওঠে।

সড়ক মেরামতে সীমাহীন দুর্নীতি তুলে ধরে গত ৬ জুলাই দৈনিক কালের কণ্ঠে “২৬ লাখ টাকার সড়ক ১০ দিনেই নষ্ট” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে পাঁচ দিনের মাথায় সড়কটি পুনরায় পিচ দিয়ে ঢালাই করে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।

এদিকে, সড়কটির পুনরায় ঢালাইয়ের ব্যবস্থা করায় ওই এলাকার বাসিন্দা এবং চলাচলকারীরা দারুণ খুশি।

এ ব্যাপারে ওই এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান ভুইয়া জানান, সড়কে কাজ চলমান থাকা অবস্থায় আমরা কাজের অনিয়ম নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। ঠিকাদার তার লোকজন দিয়ে যেনতেনভাবে কাজটি শেষে করে রাতের আঁধারে পালিয়ে যান।

যার ফলশ্রুতিতে মাত্র ১০ দিনের মাথায় সড়টি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পরে ঠিকাদার সড়কটি পুনরায় মেরামত করতে বাধ্য হয়েছেন। আমরা এলাকাবাসী এতে বেশ খুশি।
স্বরূপকাঠি পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবির জানান, কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারের পরাজয় হয়েছে, এলাকাবাসীয় অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

Share this post

PinIt
scroll to top