দেশের তথ্য ডেস্ক:-
দৈনিক সমকালের নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি মুরাদ মৃধাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেন। বিষয়টি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনকে জানিয়েছেন মুরাদ মৃধা।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। হুমকির ঘটনার দেড় ঘণ্টা পরে এ সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা করে মুঠোফোন থেকে হুমকির ভিডিও মুছে ফেলেন সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন নিজেই।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রসাশক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন নাসিরনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংসদ সদস্য নিজের নির্বাচনী এলাকা নাসিরনগর উপজেলা সদরের শহীদ মিনারের সামনের সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল ও গাড়িবহর নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করছিলেন সাংবাদিক মুরাদ মৃধা। ভিডিও ধারণের সময় মুরাদ মৃধার কাছে গিয়ে সংসদ সদস্য গাড়ি থামান।
তিনি মুরাদ মৃধাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ইয়ে সাংবাদিক ভাই, আপনে আর আমার ছবি তুইলেন না। আপনার তো অনেক উপকার করছি, এই জন্য থ্যাংক ইউ। এমপি না হই, দেখা হবে। আপনার সাথে ঠিক আছে।’
গাড়িতে করে চলে যাওয়ার সময় আঙুল তুলে হুমকির সুরে তিনি বলেন, ‘আপনি কত বড় কী আমি দেখে নিব।’
এ ঘটনার পর বেলা দুইটার দিকে সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম নিজেই সাংবাদিক মুরাদ মৃধার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যান। ওই আচরণ নিয়ে মনে কিছু না রাখতে বলে মুরাদ মৃধার কাছ থেকে মুঠোফোন নিয়ে হুমকির ভিডিও নিজ হাতে মুছে ফেলেন।
মুরাদ মৃধা বলেন, ‘দুপুরে সংসদ সদস্য আমার দোকানে আসেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংসদ সদস্য আমাকে এটা নিয়ে না ঘাবড়ানোর জন্য বলেছেন। আমি তাঁর ছোট ভাই, প্রিয় মানুষ বলে এটা নিয়ে মনে কিছু না রাখতে বলেছেন তিনি। পরে সংসদ সদস্য আমার মুঠোফোনে থাকা ভিডিও মুছে ফেলেন।’
তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্য তাঁর সঙ্গে দেখা করায় জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া থেকে বিরত আছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, ‘তাঁকে দেখে নেওয়ার বা হুমকি দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। সে তো আমার ছোট ভাই। আপনি ভিডিও দেখেন।’
