দেশের তথ্য ডেস্ক:-
কিশোরদের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ বাজারে মনসুরাবাদ ও খাপুরা গ্রামের দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে মুনসুরাবাদ গ্রামের শওকত মিয়ার ছেলে জুবায়ের হোসেন (১৫), খাপুরা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন (১৬), খাপুরা গ্রামের হারেজ মাতুব্বরের ছেলে সোহাগ মাতুব্বরকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মনসুরাবাদ গ্রামের শওকত শেখের ছেলে জুবায়ের শেখ একই ইউনিয়নের খাপুরা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রাকিবকে তিন দিন আগে অপমান করে। রবিবার বিকেলে জুবায়ের খাপুরা গ্রামে গেলে রাকিবসহ কয়েকজন জুবায়েরকে মারধর করে। পরে জুুবায়ের গ্রামে এসে এ ঘটনা জানালে তারা উত্তেজিত হয়ে মুনসুরাবাদ বাজারের দিকে এগিয়ে আসে। অন্যদিকে খাপুরা গ্রামের লোকজন এ খবর পেয়ে তারাও এগিয়ে আসে। মনসুরাবাদ বাজারে এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারা দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সড়কি, রামদা ও ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় দুই পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
হামিরদী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, খাপুরা গ্রামটি আমার ওয়ার্ডে। আমি যতদূর জেনেছি একটি ইভটিজিং এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের কিশোরদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জের ধরেই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। খাপুরা গ্রামের এক মেয়েকে ১০/১২ দিন আগে ইভটিজিং করে পাশের ৪ নং ওয়ার্ডের মুনসুরাবাদ গ্রামের এক কিশোর। এর রেশ ধরে গত ৩ দিন আগে খাপুরা গ্রামের রাকিব মুনসুরাবাদ বাজারে চুল কাটাতে গেলে তাকে মুনসুরাবাদ গ্রামের জুবায়ের মারধর করে। পরবর্তীতে জুবায়ের রবিবার বিকালে খাপুরা গ্রামে আসলে তাকে রাকিব মারধর করে। এ নিয়েই দুই পক্ষের সংঘর্ষ। পুলিশের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষই এখন শান্ত আছে।
৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও মুনসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর মোল্লা বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে কিশোরদের মধ্যে বিরোধ হয়। এ নিয়েই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ মনির হোসেন বলেন, তুচ্ছ বিষয় ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় হামিরদি ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ বাজারে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।