শাহরিয়ার কবির,পাইকগাছা।।
পাইকগাছায় তর্কিত জমিতে ঝুপড়ি ঘর বেধে পরবর্তীতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে প্রতিপক্ষদের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলার প্রতিবাদে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। উপজেলার হিতামপুর গ্রামের মৃত আলী বকস মোড়লের পুত্র মঞ্জুরুল মোড়ল বৃহস্পতিবার সকালে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে বলেন,
উপজেলার গদাইপুর মৌজায় ২২১নং খতিয়ানে ০৭ শতক ও হিতামপুর মৌজায় ১৩৪নং খতিয়ানে ৩৭ শতক, একুনে ৪৪ শতক জমি গদাইপুর গ্রামের সত্যরঞ্জন চৌধুরীর ভাই নিত্য রঞ্জন চৌধুরীর নিকট হইতে ৯৪১২/৮৪ নং কোবলা দলিলে উক্ত সম্পত্তি আমার পিতা ও ভাইপো নজরুল ইসলাম মোড়লের নামে ক্রয় পূর্বক সেখান থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত আমরা ভোগ দখল করে আসছি। বর্তমান সেটেলমেন্ট জরিপে আমাদের নামে উক্ত সম্পত্তি রেকর্ড হইয়াছে। উক্ত ক্রয়কৃত সম্পত্তি ক্রয়ের পর হইতে অদ্যাবধি পর্যন্ত আমরা সরকারের কর-খাজনাদি প্রদান করে আসছি। কিন্তু বিগত কিছুদিন ধরে নিত্য রঞ্জন চৌধুরীর ভাই বিশ্বজিৎ রঞ্জন চৌধুরীর স্ত্রী সরস্বতী চৌধুরী একই গ্রামের মৃত মাদার শেখের পুত্র মোক্তার শেখের কুপরামর্শে ও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহযোগিতায় আমাদের ক্রয়কৃত রেকর্ডীয় ও স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি অবৈধ দখল নেওয়ার বৃথা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক অভিযোগ দায়ের করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ইং- ০৬/০৪/২০২৩ তারিখ পাইকগাছা উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি.আর ৪১৪/২৩ নং একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলা তদন্তধীন আছে। এরপরেও মোক্তার ও সরস্বতী ক্ষ্যান্ত হয়নি। তারা গত ১৮ নভেম্বর ২৩ ভোরে নিজেদের একটি পলিথিন মোড়ানো ঝুপড়ি ঘরে নিজেরা আগুন দিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করে। তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে থানাপুলিশ ও স্থানীয় শতশত লোক হাজির হয়ে ঘটনা উপলব্ধি করে এবং নিজেদের ঘরে নিজেরাই আগুন দিয়েছে এটি তাৎক্ষণিকভাবে প্রমাণ হয়। উক্ত ঘটনায় তারা আমাদের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে সেটি প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণ না হওয়ায় গত ইং- ২৩/১১/২০২৩ তারিখে উক্ত সরস্বতী নাটকীয় ঘটনাকে পুঁজি করে আমাদের নামে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি বানোয়াট মামলা করেছে এবং উক্ত মামলাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। আমরা উক্ত প্রকাশিত সাংবাদে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকাশ থাকে যে, মোক্তার শেখের সহযোগিতায় বিশ্ব রঞ্জন। চৌধুরীর স্ত্রী সরস্বতী চৌধুরী তাদের শরীকের নিকট হইতে আমাদের ক্রয়কৃত স্বত্ব দখলীয় রেকর্ডীয় সম্পত্তি গায়ের জোরে ও কুট কৌশলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের যেখানে যায়গা জমি ও স্বত্বের বিষয় সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।