দেশের তথ্য ডেস্ক:-
সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সিইসি।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে চাই ভোটাররা আসছেন বা আসতে পারছেন। পথে বা বাড়িতে কেউ তাদের বাধা দিচ্ছে না। যদি বাধা দেওয়া হয় তাহলে নির্বাচন প্রভাবিত হয়ে যায়। নির্বাচন অবাধ হলো না। আমরা দেখতে চাই তারা সকল কেন্দ্রে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে দেশ একটা সংকটে আছে। বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে আছে। আমেরিকার গণতন্ত্র আড়াইশ বছরের। বিলেতের গণতন্ত্র ৩শ’ থেকে ৪শ’ বছরের। আমাদের গণতন্ত্র কিন্তু নতুন। মাঝে মাঝে ধাক্কা আসে।
গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নির্বাচন ঘিরে রাজনীতি দ্বিধাবিভক্ত। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জনগণকে গ্রহণ করতে হবে। যদি মানুষ বলে ভোট ভালো হয়েছে তবে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে। আমরা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। অর্থনীতিসহ অনেক কিছু ঠিক রাখতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন লাগবে।
এ সময় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিদেশি থাবা আছে, আমাদের সেটি মাথায় রাখতে হবে। বিদেশিদের বেশি কিছু চাওয়া নেই। আমাদের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য দেখতে চায় তারা।
তিনি বলেন, কমিশন কখনই এককভাবে নির্বাচন করতে পারে না। প্রশাসনের ওপর নির্ভর করতে হয়। সবার সৎ ও সাহসী মনোভাব দরকার। আমরা আশা করব, আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন।
সিইসি বলেন, আচরণবিধি কেউ লঙ্ঘন করছে কিনা দেখবেন। আপনারা সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ করবেন। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা রক্ষায় আপনারা যতদূর পারেন সাহায্য করবেন। কেননা নির্বাচন নিয়ে দেশ একটা সংকটের, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে আছে।