দেশের তথ্য ডেস্ক:-
২৬ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ ১৪:১৫ ঘটিকার সময় সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আপার যশোর রোডস্থ কেডিএ নিউমাকের্ট গ্রীল হাউজ সংলগ্ন পিডাব্লিউ.ডি স্ট্যাফ কোয়ার্টারের বাহিরে প্রাচীরের সাথে মিলন কাজীর চায়ের দোকানের আগে মোটরসাইকেল থামাইয়া দৌড়ে পালানোর চেষ্টা কালে মিলন কাজীর চায়ের দোকানের সামনে হতে আসামী ১) মোঃ ইব্রাহীম শেখ(৩৮), পিতা-মৃতঃ সাগর আলী শেখ, সাং-১৪০, গোবরচাকা গাবতলার মোড়, ভাজাওয়ালার গলি, থানা-সোনাডাঙ্গা মডেল; ২) নাজমুল হোসেন বাবু(৩৯), পিতা-সেলিম সরদার, সাং-হোল্ডিং নং-১৩৩, নর্থজোন বি নয়াবাটি, থানা-খালিশপুর; এবং ৩) মোঃ রাসেল(২৪), পিতা-আবু কালাম, সাং-আলমনগর চরেরহাট রোড, থানা-খালিশপুর, খুলনা মহানগরীদের’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। একপর্যায়ে ০১ নং আসামী মোঃ ইব্রাহীম শেখ’কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কাছে অস্ত্র ও গুলি আছে মর্মে স্বীকার করে। অতঃপর আসামীর পরিহিত প্যান্টের পিছনে কোমারে গোজা পলিথিনে মোড়ানো শপিং ব্যাগের মধ্যে থাকা ০১ (এক) টি কালো রংয়ের ওয়ান শুটার গান, ০১ (এক) রাউন্ড পিস্তলের গুলি, আসামী নিজ হাতে বাহির করে দেয়। পরবর্তীতে ০২ নং আসামী নাজমুল হোসেন বাবু’র হাতে থাকা বাজার করা ব্যাগের মধ্যে ক) পলিথিনে রক্ষিত ৪০০ (চারশত) গ্রাম গান পাউডার, খ) পলিথিনে রক্ষিত ৪৫০ (চারশত পঞ্চাশ) গ্রাম হলুদ রংয়ের মমছাল এবং ০৩ নং আসামী মোঃ রাসেল (২৪) এর হাতে থাকা বাজার করার ব্যাগের মধ্যে পলিথিনে রক্ষিত ক) ৯০০ গ্রাম পটাশ এবং খ) ২০০ গ্রাম বারুদ নিজ হাতে বাহির করে দেয়। আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা খুলনা মহানগরী এলাকায় সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বোমা তৈরীর উপাদানাবলি বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন আপার যশোর রোডস্থ কেডিএ নিউমাকের্ট গ্রীল হাউজ সংলগ্ন পিডাব্লিউ ডি স্ট্যাফ কোয়ার্টার এর বাহিরে প্রাচীরের সাথে মিলন কাজীর চায়ের দোকানের সামনে এসআই(নিঃ) অনুপ কুমার ঘোষ জব্দ তালিকা প্রস্তুত করতঃ আলামত জব্দ করা হয়। এ সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার মামলা নং-১৬, তারিখ-২৬/১১/২০২৩খ্রিঃ, ধারা-The Arms Act, 1878 এর 19-A তৎসহ The Explosive Substances Act, 1908 এর 4/6. রুজু করা হয়।