দেশের তথ্য ডেস্ক:-
৮ই নভেম্বর বুধবার , ঠিক বিকেল চারটে ,মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে যখন ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধন করছেন ,,,ঠিক তাহার বিপরীতে কুমারটুলিতে দেখা গেল শিল্পীদের ব্যস্ততা এবং পুজো উদ্যোক্তাদের আনাগোনা ও প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার পালা,
কোথাও শিল্পীরা প্রতিমা শুকনো করছেন কোথাও শিল্পীরা ঠাকুরের রং দেওয়ার কাজ শেষ করছেন। আবার কোথাও দেখা গেল এখনো পর্যন্ত মাটির প্রতিমা ফিনিশ করছেন।,
প্রত্যেকেই একটি কথাই বললেন, এখন আমাদের কথা বলার এতোটুকু সময় নাই, কারণ মাঝে তিন দিন বাকি। তার মধ্যে এই প্রতিমা গুলি আমাদেরকে শেষ করতে হবে। কারণ পূজো উদ্যোক্তারা আস্তে শুরু করেছেন, তাদের সময়ে প্রতিমা দিতে হবে। তাই চেষ্টা করছি দিনর রাত কাজ করে শেষ করে দেওয়ার,, অন্যদিকে শিল্পীরা, একটু আনন্দিত কারণ তারা বললেন এবারে পূজোর আর অনেকটাই বেশি তাই আমাদেরকে একটু বেশি প্রতিমা বানাতে হয়েছে। তাহারা জানালেন আমাদের প্রতিমার দাম মিনিমাম ২০০০ থেকে শুরু, এর মধ্যে দেখা গেল কয়েকটি প্রতিমা টেলারের মধ্যে তৈরি হয়েছে শিল্পীরা বললেন এই অবস্থাতেই প্রতিমা নিয়ে যাবেন এবং বিসর্জন হয়ে গেলে আবার এই ট্রলারটি ফিরে আনবেন।।
অন্যদিকে একি ভাবে কুমারটুলি পাড়ায় রাস্তার ধারে ধারে দেখা গেল, বিভিন্ন রকমের প্রদীপ ও নকশা করা ঘর নিয়ে বসে ,এমন কি পাশাপাশি দোকানে ভিন্ন রকমের চাঁদ মালা, কাগজের জবা ফুলের মালা থেকে শুরু করে কালিমার কাতান যেটাকে বলা হয়, সুন্দরভাবে সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা এবং আস্তে আস্তে ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছে। তবে সব জিনিসের দাম এতটাই বেড়ে গিয়েছে, ক্রেতারা যতটা নেওয়ার কথা তারা নিতে পারছেন না,,
শ্যামাপূজো মানে আলোর রচনায়, বারুদের গন্ধ, বাজির রসনাই, ঘরে ঘরে মোমবাতি ও প্রদীপের আলো, ছোট থেকে বড় সবাই আনন্দে মেতে উঠবে এই দীপাবলিতে। ক্লাবে ক্লাবে বাজবে ঢাকের বাদ্দি।।
রিপোর্টার,, শম্পা দাস ও সমরেশ রায় ,,,, কলকাতা