দেশের তথ্য ডেস্ক:-
খুলনা মহানগর আ’লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্র বুঝেও না, জানেও না। এতোদিনেও তারা জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে পারেনি। তারা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তনে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে। সেজন্যেই তারা জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করছে। তারা হাসপাতালে হামলা করে অমুসলিমের মত আচরণ করছে। যেখানে শিশু, বৃদ্ধ অসুস্থ রোগীরা চিকিৎসা গ্রহণ করে। সেখানে হামলা করে কাপুরুষোচিত আচরণ করেছে। তিনি আরো বলেন, প্রধান বিচারপতি একটি সাংবিধানিক পদ। এটা রক্ষা করা দেশের প্রত্যেক নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। বিএনপি সেই দায়িত্ব অবহেলা করে সংবিধানকে অপমান করেছে। এরজন্য বিএনপিকে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হবে। পুলিশ সাধারণ মানুষের জানমালের হেফাজতে রাতদিন পরিশ্রম করে নিরাপত্তা দেয়। আর সেই পুলিশকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। একই সময়ে সাংবাদিকরা তাদের সংবাদ সংগ্রহ করাতে তাদেরকেও হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে। যার নিন্দার ভাষা আমাদের জানা নেই। তবে অবশ্যই পুলিশ সাংবাদিক বিচারপতির বাসভবনে হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।
তিনি দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সকলকে স্ব স্ব এলাকায় পাহারায় থাকতে হবে। যাতে করে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা কোন মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘœ করতে না পারে। যেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে সেখানেই প্রতিরোধ করতে হবে।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কের শান্তি সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বক্তৃতা করেন নগর আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী। নগর আ’লীগ দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা আ’লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম খালেদীন রশিদী সুকর্ণ, নগর আ’লীগ যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, নির্বাহী সদস্য এড. আনিছুর রহমান পপলু, কাউন্সিলর ফকির মোঃ সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোতালেব মিয়া, মানিকউজ্জামান অশোক, মোঃ সফিকুর রহমান পলাশ, চৌধুরী রায়হান ফরিদ, এম এ নাসিম, খান সাইফুল ইসলাম, নিপা মোনালিসা আইরিন, মোঃ ইমরান হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান, হাফেজ মোঃ শামীম, মোঃ মফিদুল ইসলাম টুটুল, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন, জামিল খান, আজগর বিশ^াস তারা, শিউলি সরোয়ার, আব্দুল হাই পলাশ, চ ম মুজিবর রহমান, এড. মোঃ ফারুক হোসেন, বাবুল সরদার বাদল, মোঃ মোতালেব মিয়া, মোঃ সেলিম মুন্সি, মোঃ শিহাব উদ্দিন, আজম খান, শেখ মোঃ আবু হানিফ, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, আজিজুল হাসান রাসেল, এড. শামীম আহমেদ পলাশ, মোঃ নজিবুল হক নজীব, নাছরিণ সুলতানা, কাউন্সিলর এস এম মোজাফ্ফর রশিদী রেজা, কাউন্সিলর নদী ইসলাম নদী, কাউন্সিলর ইমরুল হাসান, হায়দার আলী খোকনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।