দেশের তথ্য ডেস্ক:-
শম্পা ইয়াসমিন পুলিশের একজন চৌকস কর্মকর্তা। সততা, দক্ষতা, যোগ্যতা এবং সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন এলিট ফোর্স র্যাব, নৌ-পুলিশ এবং পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই)। স¤প্রতি তিনি যোগদান করেছেন খুলনা মেট্রো এন্ড জেলা সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার হিসেবে। এ পদে তিনি খুলনায় সিআইডি’র প্রথম মহিলা বিশেষ পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।
নারায়ণগঞ্জে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। শম্পা ইয়াসমীন ২৪তম বিসিএস’র (পুলিশ) একজন দক্ষ ক্যাডার। ২০০৫ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর এলিট ফোর্স র্যাব-৫ এবং ১০ অপারেশন অফিসার এবং ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে সততা, দক্ষতা, যোগ্যতা এবং সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তার হাত ধরেই নারায়ণগঞ্জে পিবিআই প্রতিষ্ঠিত হয়। পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার ইনচার্জ হিসেবে দক্ষতা এবং যোগ্যতার সাথে ৩ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।
খুলনায় সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি সিলেট অঞ্চলের নৌ-পুলিশ সুপার হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের একজন দক্ষ এবং মেধাবি কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চ্যালেঞ্জিং এবং দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “অপরাধ এবং ফৌজদারি বিচার” বিষয়ে এম এস ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি অস্ট্রেলিয়া সরকারের বৃত্তি নিয়ে টেরোরিজম এন্ড সিকিউরিটি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন।
খুলনায় সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর খানজাহান আলী থানার গিলাতলা সিআইডি’র বিভাগীয় কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সিআইডি প্রধান এডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল মোহাম্মদ আলী মিয়ার (বিপিএম,পিপিএম) নির্দেশনা মোতাবেক খুলনা মেট্রো এন্ড জেলা সিআইডি’র সার্বিক কর্মকান্ডে গতিশীলতা আনায়নে আমি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করবো। তিনি বলেন, অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট সিআইডি অত্যন্ত স্পর্শকাতর পুলিশের একটি বিশেষ রাষ্ট্রীয় আস্থাশীল শাখা। যারা সন্ত্রাসবাদ, খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ অপরাধ, মানবপাচারসহ চাঞ্চল্যকর স্পর্শকাতর অপরাধের বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সহায়তা করে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধের ফরেনসিক সাহায্য দিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, এমন একটি জায়গায় থেকে আমাদের প্রত্যেককে সততা ও নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করা উচিত। উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের সহযোগিতায় বর্তমান কর্মস্থলে নিজের শ্রম, মেধা, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার সর্বোচ্চটা দিয়ে দেশের জনগণকে সেবা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।