দেশের তথ্য ডেস্ক:-
বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলায় গ্রাম্য সালিশে চাচি-ভাতিজার বিয়ে পড়ানোর ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ৮ জনের নামে শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বলছেন, এ ঘটনায় আরো ১০ থেকে ১৫ ব্যক্তি জড়িত ছিলেন। মামলা চলমান থাকায় তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য জিল্লুর রহমান, পশ্চিম জাহাঙ্গীরাবাদ জামে মসজিদের ইমাম শাহিনুর রহমান, কাজির সহকারী ইলিয়াস আলী ফকির, মালোগাড়ি গ্রামের মোজাফফর মন্ডল, তোজাম মন্ডল এবং মোজাম্মেল হক।
শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল ইউনিয়নের মালোগাড়ি গ্রামের ভুক্তভোগী নারী জানান, তার স্বামী প্রবাসে থাকেন। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে প্রতিবেশী ভাতিজা আব্দুল মমিনকে সাংসারিক কাজে বাড়িতে ডাকেন। এসময় গ্রামের লোকজন অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে তাদেরকে ঘরে সারা রাত আটকে রাখে। পরদিন সকালে দুজনকে ঘর থেকে বের করে মারপিট করে গ্রামে শালিস বাসায়। শালিসে প্রাবাসে থাকা স্বামীকে তালাক করতে বাধ্য করার পর মসজিদের ইমাম শাহিনুর দু’জনকেই ১০১টি করে দোররা মারার নির্দেশ দিলে একই গ্রামের আজাদুল ইসলাম বাঁশের কঞ্চি দিয়ে দোররা মারেন। এরপর দুই লাখ টাকা দেন মোহরানা নির্ধারণ করে প্রতিবেশী ভাতিজা আব্দুল মোমিনের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হয়।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা দায়ের করার পরপরই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক অপর দুইজনকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতার ৬ জনকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আরো ১০ থেকে ১৫ জন জড়িত ছিলেন। তাদের আইনের আওতায় নেয়া হবে। মামলা চলমান থাকায় তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।