দেশের তথ্য ডেস্ক:-
সেপ্টেম্বরের ১ ও ২ তারিখে রাজধানীর দুই স্থানে বড় দুটি সমাবেশ করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ১ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের তারুণ্যনির্ভর সমাবেশ, ২ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সুধী সমাবেশ।
আর এ দুটি সমাবেশেই প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ‘স্মরণকালের সর্ববৃহৎ’ ছাত্রসমাবেশ করতে চায় ছাত্রলীগ। ১ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রসমাবেশ সফল করতে সাত নির্দেশনা দিয়েছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে সারা দেশে ছাত্রলীগের সব ইউনিটের নেতাকর্মী, ছাত্র, তরুণ ও যুবকদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়। ছাত্রসমাবেশে উপস্থিত ইউনিটগুলোর মধ্য থেকে সেরা ইউনিটকে সাংগঠনিকভাবে পুরস্কৃত এবং কোনো ইউনিট উপযুক্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে সাংগঠনিক জবাবদিহির ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রসমাবেশ সফল করতে সবাই নিজ ইউনিটে ও তার অধীন ইউনিটগুলোতে নির্বাহী সভা, বর্ধিত সভা, কর্মী সভার আয়োজন করবে। সমাবেশে জনদুর্ভোগ পরিহার করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ছাত্র-তরুণ-যুব সমাজের নিরঙ্কুশ ম্যান্ডেট প্রদান করতে ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিট দেশব্যাপী জোয়ার তৈরি করবে। এ সমাবেশে দলে দলে যোগ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীপ্ত শপথে বলীয়ান হবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলার নেতাদের মতবিনিময় সভা করেছে দলটি। আগামী ২ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে রাজধানীর আগারওগাঁওয়ে অনুষ্ঠেয় জনসভার প্রস্তুতি উপলক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ২ সেপ্টেম্বর রাজধানী মহাসমুদ্র দেখবে, জনতার মহাসমুদ্র। সেই মহাসমুদ্র দেখার অপেক্ষায় আছি।
দলীয় সূত্র মতে, আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার আশপাশের ১১ জেলা থেকে নেতাকর্মীরা সুধী সমাবেশে অংশগ্রহণ করবে। প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা রঙের ক্যাপ বা গেঞ্জি নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা মহানগরের সব ওয়ার্ড ও থানা থেকে কয়েক লাখ নেতাকর্মী জনসভায় উপস্থিতির প্রস্তুতি চলছে। রাজধানীর আগারওগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে এ জনসভা হবে।