দেশের তথ্য ডেস্ক:-
ভিকটিম ১৭ বছরের এক কিশোরী। সে রংপুরের একটি স্কুলে পড়ালেখা করাকালীন সময়ে আসামী ভিকটিমকে রাস্তাঘাটে উত্যক্ত করাসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। পরবর্তীতে আসামী বিভিন্ন সময় বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষন করে। একপর্যায়ে ভিকটিম দুইমাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পরলে ভিকটিম আসামীকে বিবাহের কথা বলে। কিন্তু আসামী ভিকটিমকে বিবাহ অস্বীকৃতি জানায়। এবং একপর্যায় ভিকটিমকে বিভিন্ন ভয়ভীতিসহ রক্তাক্ত জখম করে জোরপূর্বক ঔষধ সেবন করিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। পরবর্তীতে ভিকটিম বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে গত ১১ জুলাই ২০২৩ইং তারিখে বিকেলে ভিকটিম আসামীরদের বাড়ীতে গেলে ধৃত আসামীসহ সহযোগী আসামীগণ ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী কিল, ঘুষিসহ রক্তাক্ত জখম করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। ভিকটিমের মা-বাবা খবর পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার পূর্বক চিকিৎসা প্রদান করেন। বিষয়টি নিয়ে ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে রংপুরের কোতয়ালী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার প্রধান আসামীঃ-মোঃ মোখলেছার রহমান বকুল (২২), মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানায় আত্নগোপন করেন। ঘটনাটি র্যাব ১৩, রংপুর জানতে পেরে র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের নিকট অবগত করলে র্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২০ আগষ্ট ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানাধীন যশোবন্তপুর গ্রামস্থ এলাকায় আত্নগোপন করে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ সকাল ০৬.০০ ঘটিকার সময় মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানাধীন যশোবন্তপুর গ্রামস্থ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষন মামলার প্রধান পলাতক আসামী- মোঃ মোখলেছার রহমান বকুল (২২), পিতাঃ মোতালেব হোসেন, সাং- দক্ষিণ মোমিনপুর ডাঙ্গাপাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-রংপুরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে রংপুর জেলার কোতয়ালী থানায় হস্থান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।