দেশের তথ্য ডেস্ক:-
১৭ আগস্ট ২০২৩ খ্রিঃ, ০২ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বিকাল ০৩.০৫ ঘটিকায় কেএমপি’র সদর দপ্তরস্থ পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে মান্যবর পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয়ের সভাপতিত্বে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অপরাধ পর্যালোচনা সভার শুরুতে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মহোদয় উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি, বাঙালির আশার বাতিঘর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে শহিদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহিদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন যে, “খুলনা মহানগরীতে জঙ্গী ও সন্ত্রাস, মাদক, মানব পাচার, চাঁদাবাজি প্রতিহত করতে এবং যানজট মুক্ত নগরী গড়তে আমরা বদ্ধ পরিকর। হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতা, গণধর্ষণ, অপহরণসহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মামলাসমূহের নিবিড়ভাবে তদন্ত করতে সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন। যে কোন ধরণের ফৌজদারি ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে সংশ্লিষ্ট অফিসারদেরকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন যে, খুলনা এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ শুনতে চাই না এজন্য মাদক ব্যবসায়ীদের ও সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী, জুয়াড়ি, দেহ ব্যবসায়ী এবং ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে। এছাড়া মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সকল গুরুত্বপূর্ণ মামলার ছায়া তদন্ত করবে। কেএমপি’র আওতাধীন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটলে দ্রুততার সাথে মামলা রুজু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেতে হবে। চোরের ডাটাবেজ করতে হবে এবং চুরি বন্ধে নাইট গার্ডদের টহল পুলিশ সতর্ক করবে। ডিউটি কালীন সময়ে লাইট ও বাঁশি ব্যবহার করলে সিধেঁল চুরি বন্ধ হয়ে যাবে। অভিযোগগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ প্রদান করেন। খুলনা মহানগরীতে মোটরসাইকেল চোরচক্র গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশনা প্রদান করেন। সকল পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্সকে ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে, কারো অনাকাঙ্ক্ষিত চলাফেরার কারণে যেন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের দুর্নাম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা সবাই মিলে কেএমপি’কে একটি চমৎকার গতিশীল ইউনিটে পরিণত করতে চাই।
অপরাধ পর্যালোচনা সভা কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মহোদয় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ পুলিশ অফিসার, ফোর্স এবং সিভিলস্টাফকে নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন। মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয় খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, নারী নির্যাতন এবং চুরি মামলার তদন্তের অগ্রগতি, ওয়ারেন্ট তামিলের পরিসংখ্যান, থানায় মামলা রজু ও নিষ্পত্তির পরিসংখ্যান, সাজা ও খালাস মামলার পরিসংখ্যান পর্যালোচনাসহ সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মূলতবী মামলা সমূহের দ্রুত নিষ্পত্তি, অস্ত্র উদ্ধার, জঙ্গি গ্রেফতার, ওয়ারেন্ট তামিল হার বাড়ানো এবং মাদকদ্রব্য উদ্ধার সংক্রান্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সততা ও স্বচ্ছতার সাথে দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন এবং সংশ্লিষ্ট ডিসিদেরকে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ফোর্সের চেইন অব কমান্ড এবং ডিসিপ্লিন ঠিক রাখতে ব্রিফিং এবং ডি ব্রিফিং করার জন্য দিক নির্দেশনা প্রদান করেন”।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) জনাব মোঃ সাজিদ হোসেন; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) জনাব মোছাঃ তাসলিমা খাতুন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জনাব মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন; বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) জনাব রাশিদা বেগম, পিপিএম-সেবা; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) জনাব রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, পিপিএম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব বি.এম নুরুজ্জামান, বিপিএম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) জনাব এম.এম শাকিলুজ্জামান; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (এফএন্ডবি) জনাব শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ইএন্ডডি) জনাব মোঃ কামরুল ইসলাম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব মনিরা সুলতানা; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (আরসিডি) জনাব শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী-সহ অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, সহকারি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ অফিসার ইনচার্জবৃন্দ এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত অফিসারবৃন্দ ।