শাহরিয়ার কবির, নিজস্ব প্রতিবেদক // পাইকগাছায় সড়কে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। কোন প্রতিকার নেই। জিম্মি গোটা সমাজ, গোটা জাতি। সরল টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র কংকন মন্ডল মঙ্গলবার বিকেলে গদাইপুর সাঈদের মিল সংলগ্ন প্রধান সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। সে পৌরসভার সরল ৫ নং ওয়ার্ড এর শ্যামল মন্ডল এর ছেলে। ঘটনা স্থলের মানুষ ও মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শখের অ্যাকুরিয়াম এর মাছ কিনতে বাইসাইকেলে গদাইপুর ইউনিয়নের মানিকতলার বাজারে যায় অংকন (১৩) ও বিজয় (১২)। দোকান বন্ধ থাকায় ফিরতি পথে সাঈদীর মিল ও পিচের রাস্তা মোড়ের মাঝামাঝি পৌঁছালে খুলনার দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী বাস তাদের বাইসাইকেলের পিছনে ধাক্কা দেয়। বাইসাইকেলের সামনে রডে বসা বিজয় ছিটকে পিচের রাস্তার উপর পড়ে গড়াতে গড়াতে রাস্তার ধারে মাটিতে আর অংকন সাইকেলের নিচে চাপা পড়লে বাসের পিছনের চাকা সাইকেলের উপর দিয়ে গেলে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত খুমেক এ যাওয়ার পরামর্শ দেন। খুলনায় যাওয়ার পথিমধ্যে কপিলমুনিতে অংকন মারা যায়। আর বিজয় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি রয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে ৫ টা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে। রাতেই বয়রা মহাশ্মশানে মৃত অংকন এর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
সম্পন্ন হয়। এঘটনায় এলাকায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি করে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে । সুধীজনেরা অভিযোগ করেন, খুলনা থেকে পাইকগাছায় যাওয়া-আসায় পথিমধ্যে গোল্লামারি, জিরোপয়েন্ট, কৈয়াবাজার, ডুমুরিয়া, সর্বশেষ চুকনাগর বাজারে অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণ এর ফলে বাসের নির্দিষ্ট সময়ে আসার জন্য প্রত্যেক বাস গাড়ি বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। ফলে সড়কে প্রায় এধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। কোন প্রতিকার নেই। প্রত্যেকবার কোন না কোন অজুহাতে, আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।