বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভায় কেএমপি’র মান্যবর পুলিশ কমিশনার মহোদয়ঃ

moja-2.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক:- 

১৫ই আগস্ট ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার সকাল ১১.০৫ ঘটিকায় খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমী খুলনায় ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভা এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, এমপি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যের শুরুতে মান্যবর পুলিশ কমিশনার মহোদয় উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ইতিহাসের মহানয়ক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি, বাঙালির আশার বাতিঘর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে শহিদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহিদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
পুলিশ কমিশনার মহোদয় তার বক্তব্যে আরো বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অভিলাষের কথা দৃঢ়ভাবে উচ্চারিত হয় রেসকোর্স ময়দানে “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তরি সংগ্রাম” বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠে সে ভাষণের মধ্য দিয়ে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে পুলিশ ও ইপিআর এর ওয়্যারলেস এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বধীনতার ঘোষণা দিলে মুক্তিকামী উত্তাল জনতার সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হতে বাংলাদেশ পুলিশের অকুতোভয় সদস্যরা ২৫ শে মার্চের প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দেন ।
দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাজাকার আলবদরদের দোসর স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে বাঙালির আশার বাতিঘর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্য শাহাদত বরণ করেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে খুলনার সন্তান বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ ভ্রাতা শহীদ শেখ আবু নাসেরকে ও হত্যা করা হয়। দেশি বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু’র পরিবারের হত্যা করে ঘাতকরা বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে দিতে চেয়েছিলো কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ততই বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে। বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদের শাস্তি নিশ্চিতকল্পে নিরলসভাবে চেষ্টা করার পাশাপাশি আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে মাদক,জঙ্গি, সন্ত্রাস, ইভটিজিং মুক্ত এবংশিক্ষা কৃষি, শিল্পে সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামীর প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বপ্নের সোনার বাংলা উপহার দিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নীতি, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের শিক্ষা নিয়ে তরুণ প্রজন্মকে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। এইজন্য জাতির জনককে জানতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পাঠ করতে হবে।”
শোক দিবসের আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন খুলনা জেলা প্রশাসক জনাব খন্দকার ইয়াসিন আরেফীন এবং আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা জনাব মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ।
উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি, খুলনা (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) জনাব মোঃ নিজামুল হক মোল্যা; খুলনা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান পিপিএম-সেবা; খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির; খুলনা জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার জনাব সরদার মাহাবুবার রহমান; খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মকবুল হোসেন মিন্টু।

Share this post

PinIt
scroll to top