দেশের তথ্য ডেস্ক:-
এ কূলে কেউ নেই। স্বামী গত হয়েছেন অনেক আগেই। স্বামীর ভিটায় জরাজীর্ণ ছাপড়া ঘরেই বাস। সে জমিতেও বাম নজর পড়েছে পরধন লোভীর। এরই মধ্যে বেদখল হওয়ার উপক্রম। একদিকে অভাব অনটন দু’মুঠো ভাতের নিশ্চয়তার খোঁজ, অন্যদিকে স্বামীর ভিটা রক্ষার চেষ্টায় যেন দিশেহারা বৃদ্ধা, ঠিক তখনই কোন প্রকার অভিযোগ ছাড়াই বাড়ীতে হাজির সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান। দায়িত্ব-আশ্বাস আর স্বামীর ভিটা রক্ষার নিশ্চয়তা পেয়ে বৃদ্ধা গোলাপজান নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন।
ভুক্তভোগীর নাম গোলাপজান (৭৫)। গোলাপজান ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের ভরিলহাট গ্রামের মৃত মুনসুর বেপারী ওরফে গেদার স্ত্রী।
বৃদ্ধা গোলাপজান বলেন, আমার কেউ নাই। স্বামী অনেক আগেই মারা গেছে। স্বামীর শেষ সম্বল পৌনে দুই শতাংশ জমিতে ভাঙ্গা ছাপড়া ঘরে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাই। এখন আবার আমার জমির উপর নজর পড়ছে। শেষ সম্বলটুকুও বেদখল হয় হয়। এসিল্যান্ড স্যার বাড়ীর উপর আসছিল। সব কিছু দেখলো, শুনলো। আমি বলেছি আমি কোথায় যাবো না। স্বামীর ভিটায়ই থাকবো। এসিল্যান্ড আমাকে ভিটারক্ষাসহ অনেক আশ্বাস দিয়েছে। আমার দায়িত্ব নিয়েছে। কিছু টাকাও দিয়েছে। আর কয়দিন বাঁচবো, স্বামীর ভিটায় মরতে চাই।
ভাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান বলেন, ভরিলহাট গ্রামে গতকাল খাস জমির বিষয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে নি:সন্তান বিধবা বৃদ্ধা গোলাপজানের বিষয়ে জানতে পারি। তাৎক্ষনিক তার বাড়ীতে গিয়ে সব কিছু দেখে-শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। জরাজীর্ণ ছাপড়া ঘর সেটিও অস্তিত্ব সংকটে। বাড়ীতে কোন টয়লেট নেই। তাঁর ভিটা বেদখল থেকে রক্ষাসহ বাসস্থান-খাদ্য নিশ্চয়তা দিয়েছি। ডিসি স্যারের সাথে আলাপ করে তাঁর স্বামীর ভিটায় ঘর নির্মাণসহ স্বাভাবিক জীবনযাপনের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি জানান।