ডুমুরিয়া ও চুকনগর প্রতিনিধি
ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে বহুল আলোচিত হালিমা মেমোরিয়াল নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক কথিত ডাঃ কামাল হোসেন (৪০)-কে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে সিলগালা করা হয়েছে ক্লিনিকটি। ডাঃ কামাল নরনিয়া এলাকায় পলী চিকিৎসক আঃ গনি মোড়লের ছেলে।
পৃথক আরেক অভিযানে বাল্য বিয়ের দায়ে ২৯ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে নববধূর শাশুড়ীকে। গতকাল বৃহস্পতিবার পৃথক দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ আসিফ রহমান।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চুকনগর বাজারে অবস্থিত হালিমা মেমোরিয়াল নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একের পর এক অপ-চিকিৎসায় সাধারণ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। তাছাড়া স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে ক্লিনিক পরিচালনার অপরাধে একাধিকবার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফলে বিষয়টি আমলে নেয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে অভিযান পরিচালনা করে স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘনের অপরাধে ক্লিনিক মালিককে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও একই সাথে ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়।
অপর দিকে পৃথক একটি অভিযানে ডুমুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্য বিয়ের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে নববধূর শাশুড়ী রুনু বেগম (৫২)-কে ২৯ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সে বটিয়াঘাটার চক্রাখালী এলাকার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ আসিফ রহমান। তিনি বলেন, সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে ক্লিনিক পরিচালনা এবং বাল্য বিয়ের অপরাধে অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডসহ ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।