Dhaka 12:12 pm, Saturday, 5 July 2025

কয়রায় এক যুগ পরে জামায়তের মিছিলে হামলা ও হত্যা মামলায় সাবেক ২ এমপি, শিক্ষক, সাংবাদিক ও আইনজীবীসহ শতাধিক আসামী

কয়রা প্রতিনিধিঃ  অরবিন্দ কুমার মণ্ডল

কয়রায় দীর্ঘ এক যুগ পর জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও এক কর্মী হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।

 

গত বৃহস্পতিবার নিহত জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ছবিরন নেছা বাদী হয়ে কয়রা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কয়রা থানায় এফআইআরের আদেশ দেনষ।

 

এ মামলায় খুলনা-৬ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী সহ ১১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর বেশিরভাগই আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী।

 

মামলার এজাহারে জানা গেছে, জামায়াতের কেন্দ্রিয় নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের উদ্যোগে কয়রা সদরে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার জালালের মোড়ে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্বে হামলা হয়। হামলায় কমপক্ষে ২৯ জন আহত হয়। এর মধ্যে মামলার বাদীর স্বামী জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সে সময় আহতদেরও হাসপাতালে নিতেও বাধা দেয় আওয়ামীলীগ কর্মীরা। আহতদের হাসপাতালে নিতেও বাধা দেয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বলে এজাহারে উল্লেখ আছে।

 

মামলার এজাহারে উল্লেখিত শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী সহ অনেকের এই হামলা বা হত্যার সাথে সম্পৃক্ততা নেই এমন কথা শোনা যাচ্ছে ও কিছু আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্রিকায় লেখালেখি হওয়াতে হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রমে বিঘ্নিত হতে পারে বলে সুধীজনেরা ধারণা করছেন।

 

এবিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী ছবিরন নেছা জানান, তাঁর স্বামী জাহিদুল ইসলাম দিন মজুরি কাজ করতেন। তিনি স্বামী হত্যার বিচারের দাবিতে মামলাটি করেছেন। তবে মামলার আসামি তালিকাকায় শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবীদের নাম থাকার বিষয়ে তিনি কেন মন্তব্য করতে চান না বলে মুঠোফোনে জানিয়েছেন।

 

 

এ বিষয়ে জামায়াতের কয়রা উপজেলা শাখার আমীর মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগ সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় বহু নেতাকর্মী আহত হয়। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। সে সময় মামলা করার সাহস করেনি কেউ। এখন ভুক্তভোগীর পরিবার হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেছেন। তবে আমরা বারবার বলছি মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারো নাম যেন জড়ানো না হয়। কেউ যদি অপরাধে জড়িত থাকে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কিন্তু কাউকে হেয় প্রতিপন্ন কিংবা হয়রানি করতে মামলায় আসামী করা উচিত নয়। এতে সুবিচার করার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

 

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় খানজাহান আলী থানা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন

কয়রায় এক যুগ পরে জামায়তের মিছিলে হামলা ও হত্যা মামলায় সাবেক ২ এমপি, শিক্ষক, সাংবাদিক ও আইনজীবীসহ শতাধিক আসামী

প্রকাশঃ 01:20:00 pm, Sunday, 20 April 2025

কয়রা প্রতিনিধিঃ  অরবিন্দ কুমার মণ্ডল

কয়রায় দীর্ঘ এক যুগ পর জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও এক কর্মী হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।

 

গত বৃহস্পতিবার নিহত জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ছবিরন নেছা বাদী হয়ে কয়রা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কয়রা থানায় এফআইআরের আদেশ দেনষ।

 

এ মামলায় খুলনা-৬ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী সহ ১১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর বেশিরভাগই আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী।

 

মামলার এজাহারে জানা গেছে, জামায়াতের কেন্দ্রিয় নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের উদ্যোগে কয়রা সদরে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার জালালের মোড়ে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্বে হামলা হয়। হামলায় কমপক্ষে ২৯ জন আহত হয়। এর মধ্যে মামলার বাদীর স্বামী জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সে সময় আহতদেরও হাসপাতালে নিতেও বাধা দেয় আওয়ামীলীগ কর্মীরা। আহতদের হাসপাতালে নিতেও বাধা দেয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বলে এজাহারে উল্লেখ আছে।

 

মামলার এজাহারে উল্লেখিত শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী সহ অনেকের এই হামলা বা হত্যার সাথে সম্পৃক্ততা নেই এমন কথা শোনা যাচ্ছে ও কিছু আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্রিকায় লেখালেখি হওয়াতে হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রমে বিঘ্নিত হতে পারে বলে সুধীজনেরা ধারণা করছেন।

 

এবিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী ছবিরন নেছা জানান, তাঁর স্বামী জাহিদুল ইসলাম দিন মজুরি কাজ করতেন। তিনি স্বামী হত্যার বিচারের দাবিতে মামলাটি করেছেন। তবে মামলার আসামি তালিকাকায় শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবীদের নাম থাকার বিষয়ে তিনি কেন মন্তব্য করতে চান না বলে মুঠোফোনে জানিয়েছেন।

 

 

এ বিষয়ে জামায়াতের কয়রা উপজেলা শাখার আমীর মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগ সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় বহু নেতাকর্মী আহত হয়। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। সে সময় মামলা করার সাহস করেনি কেউ। এখন ভুক্তভোগীর পরিবার হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেছেন। তবে আমরা বারবার বলছি মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারো নাম যেন জড়ানো না হয়। কেউ যদি অপরাধে জড়িত থাকে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কিন্তু কাউকে হেয় প্রতিপন্ন কিংবা হয়রানি করতে মামলায় আসামী করা উচিত নয়। এতে সুবিচার করার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়।